ঘূর্ণিঝড় মোখা যত এগিয়ে আসছে নোয়াখালীর উপকূলীয় এলাকার মানুষের আতঙ্ক তত বাড়ছে। সেই সঙ্গে জেলা-উপজেলা প্রশাসনসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের তৎপরতাও বাড়ছে। রোববার (১৪ মে) সকালে সাধারণ মানুষকে ঘূর্ণিঝড় মোখার ভয়াবহতা জানিয়ে সতর্ক করা এবং সঠিক সময়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে মাইকিং করা হয়।

হাতিয়া, কোম্পানীগঞ্জ, সুবর্ণচর ও কবিরহাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত নোয়াখালীর আবহাওয়া স্বাভাবিক রয়েছে। অবস্থা স্বাভাবিক থাকায় মানুষের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি। রাতে স্বল্পসংখ্যক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে থাকলেও সকাল থেকে তারাও বাড়ি ফিরেছেন।

জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, উপকূলীয় এলাকা হওয়ায় মানুষ ঝড়-জলোচ্ছাস মোকাবিলা করে বেঁচে থাকেন। যার কারণে এসব এলাকার মানুষ বাড়ি-ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে চায় না। তাই জনগণকে মোখার ভয়াবহতা এবং আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে মাইকিং করা হচ্ছে।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) বিজয়া সেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মাইকিং করার পাশাপাশি আমরা ঘূর্ণিঝড় কালীন এবং পরবর্তীতে যেকোনো ধরনের সেবা গ্রহণের উদ্দেশে বা তথ্য জানার জন্য নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে। যেকোনো প্রয়োজনে উপকূলবাসীর যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন সকল প্রস্তুতি নিয়েছে। ইতোমধ্যে ৪৬৩টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ৩টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যার ধারণ ক্ষমতা ৩ লাখ ৩ হাজার ৬০০ জন। সিপিপির ৮ হাজার ৩৮০ জন এবং রেড ক্রিসেন্টের ৫৭০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত রয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা প্রতিরোধে গৃহীত সরকারি-বেসরকারি পদক্ষেপসমূহ সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি এবং কয়েকটি সাইক্লোন সেন্টার পরিদর্শন এবং সার্বিক প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ করেছি। জানমালের ক্ষয়ক্ষতি প্রশমনে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান।

হাসিব আল আমিন/এবিএস