প্রয়োজনীয় সংখ্যক বেড না থাকায় হাসপাতালের করিডোরে রোগীদের চিকিৎসাসেবা

পটুয়াখালীতে হঠাৎ করেই বাড়ছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে গত এক সপ্তাহে অন্তত ৬০ জন রোগী পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শয্যা না থাকায় মেঝেতে ঠাঁই হয় রোগীদের।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এক সপ্তাহে প্রতিদিন ১০ জন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের ডায়রিয়া বিভাগে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু। মার্চের মাঝামাঝি থেকে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়তে থাকে। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৯ জন ভর্তি হন। এ পর্যন্ত ৬৮ জন রোগী ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডায়রিয়া বিভাগে মাত্র ১৫টি বেড রয়েছে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক বেড না থাকায় রোগীরা হাসপাতালে মেঝে ও করিডোরে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করছেন। এতে করে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগীদের।

চিকিৎসাধীন রোগী আবদুর রাজ্জাক বলেন, আমি গতকাল বুধবার ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। ওয়ার্ডে বেড না থাকায় বাধ্য হয়ে মেঝেতে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করছি।

আমতলী থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী নাসিরের স্বজন সেলিনা বলেন, আমাদের দেবর বুধবার অসুস্থ হলে তাকে চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে বেড না থাকায় মেঝেতে থেকে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করছি।

বরগুনার আমতলী এলাকার বাসিন্দা মো. আবদুল হালিম বলেন, বুধবার রাতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হলেও দুপুর পর্যন্ত কোনও চিকিৎসকের দেখা পাননি। শুধুমাত্র নার্সরা এসে স্যালাইন দিয়েছেন।

হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মতিন বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসক ও জনবলের ঘাটতি আছে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি রোগীদের সু-চিকিৎসা নিশ্চিত করতে। এ সময় সাধারণত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ে। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ওষুধ ও স্যালাইন আছে। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এমএসআর