নির্বাচন কমিশনার আলমগীর প্রিজাইডিং অফিসারদের উদ্দেশ্যে বলেছন, ভোটকেন্দ্রে শৃঙ্খলা আনতে ব্যর্থ হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে খবর দেবেন তারা না পারলে বিজিবি, র‍্যাব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে জানাবেন। তারাও যদি কেন্দ্রে শৃঙ্খলা আনতে না পারেন তবে ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখবেন। আর যদি দেখেন কেন্দ্রের শৃঙ্খলা আনা সম্ভব না তবে ওই কেন্দ্রের নির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করে দেবেন এবং বিষয়টি রিটার্নিং অফিসারকে জানাবেন।

রোববার (২১ মে) বিকেলে শহীদ বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে আয়োজিত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দায়িত্বপালনকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তাদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন তিনি। মতবিনিময় সভায় রিটার্নিং অফিসার ফরিদুল ইসলাম, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

 নির্বাচন কমিশনার প্রিজাইডিং অফিসারদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, শুধু বাংলাদেশের মানুষ নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ ও সংস্থাগুলো গাজীপুরের নির্বাচনের দিকে তাঁকিয়ে আছে যে নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু, সুন্দর, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়। আগামী ২৫ তারিখ সমস্ত জাতি, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বিশ্বে অনেকগুলো বড় বড় দেশ যারা তাঁকিয়ে থাকবে আপনাদের দিকে, ভোটারদের দিকে এবং প্রার্থীদের দিকে। আমাদের দিকে কেউ তাকাবে না। জেলা প্রশাসন, পুলিশের দিকেও কেউ তাকাবে না। আপনারা কেমন পারফর্ম করছেন, ওখানে কেমন দায়িত্বপালন করছেন, সেটার উপর নির্ভর করেই আপনারা যেমন প্রশংসিত হবেন আমরাও সেটার ভাগ পাব। তবে নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সর্বাধিনায়ক হচ্ছেন আপনি। ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব সবাই আপনার নিয়ন্ত্রনাধীন। এটা মনে রাখতে হবে। কেন্দ্রের বাইরে তারা দায়িত্ব পালন করবে। কেন্দ্রের মধ্যে তারা প্রবেশ করবে না অর্থাৎ বুথের ভিতরে ঢুকবে না। বুথের ভিতরে সমস্ত শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিং অফিসার এবং যারা পুলিং এজেন্ট থাকবেন তাদের। এ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যদি আপনারা আইন মেনে চলবেন। আপনাদের আইন যে ক্ষমতা দিয়েছে সব লেখা আছে। নির্বাচনী যে ম্যানুয়েল আছে সেখানেও সহজভাবে লেখা আছে। 

তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রে যারা নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত স্টাফ তারা ছাড়া অন্য কোনো লোক প্রবেশ করতে পারবেন না। এমনকি কোনো পুলিশ অফিসার ও ম্যাজিস্ট্রেটও না, বিজিবি, র‍্যাব তারাও না। শুধুমাত্র ভোটার এবং ভোটের দায়িত্বে যারা থাকবেন তারা সেখানে  প্রবেশ করবেন। বিশেষ পরিস্থিতিতে আপনি যদি আহ্বান করেন তবেই তারা প্রবেশ করবেন। তার আগে নয়। রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে যে সব সাংবাদিককে কার্ড দেওয়া হবে কেবলমাত্র তারাই ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন এবং তারাই সেখানে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। কার্ডের পিছনে লেখা আছে সাংবাদিকরা কি করতে পারবেন আর কোনটা পারবেন না। 

শিহাব খান/আরকে