দুই পা অচল, দুই হাতে উপর ভর দিয়ে প্রতিবেশীর সহায়তা নিয়ে ভোট দিতে এসেছেন চিত্তরঞ্জন শীল। তবে ইভিএমে ভোট দিয়ে খুশি তিনি। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় সিটি কর্পোরেশনের কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাকে ভোট দিতে দেখা যায়।

চিত্তরঞ্জন শীলের বাড়ি সিটি কর্পোরেশনের সদর থানার কানাইয়া দক্ষিণ পাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম নাম যতীন্দ্র নাথ শীল। তিনি সিটি করপোরেশনের ৩০নং ওয়ার্ডের কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৯টায় ভোট দেন। 

চিত্তরঞ্জন শীল জানান, জন্মের ১১ মাস বয়সে তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন। এরপর থেকে তার দুই পায়ে সমস্যা দেখা দেওয়ায় ধীরে ধীরে অচল হয়ে পড়ে।

তিনি বলেন, আমি ভোট দিতে পারব কিনা কেউ আমাকে ভোট দিতে সহযোগিতা করবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে ছিলাম। পরে প্রতিবেশী লোকমান ফকিরের সহযোগিতায় ভোট কেন্দ্রে আসতে পেরেছি। ভোটকেন্দ্রে আসার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, নির্বাচন কর্মকর্তারা আমাকে খুব সহযোগিতা করেছে। আমাকে ভোট দেওয়ার জন্য চেয়ার এগিয়ে দিয়েছেন। আমি জীবনের প্রথম ইভিএমে সুন্দরভাবে ভোট দিয়েছি। 

চিত্তরঞ্জন শীলের সঙ্গে ভোটকেন্দ্রে আসেন তার প্রতিবেশী সোলেমান ফকির। তিনি বলেন, চিত্তর ভোট দেওয়ার আগ্রহ খুব বেশি ছিল। সকাল থেকে কয়েকবার আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ভোটকেন্দ্রে আসার জন্য। তাই আমি নিয়ে অটোরিকশায় করে তাকে ভোট দিতে এনেছি।

শিহাব খান/আরকে