কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মসজিদের নতুন কমিটি গঠন ও ইমাম নিয়োগকে কেন্দ্র করে পৃথক দুটি ঘটনায় অন্তত অর্ধশত লোকজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ মে) জুমার নামাজের পর উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ও আগানগর ইউপির নবীপুর এলাকায় পৃথক দুটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর। খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহতদের মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন ২৭ জন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় ১০ জনকে। গুরুতর আহত দুজনকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে এবং একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এলাকার খান বাড়ী বংশের জায়গায় উপজেলা কালিকাপ্রসাদ খান বাড়ি জামে মসজিদটি অনেক বছর আগে নির্মাণ করা হয়। ২০১৯ সাল থেকে খান বাড়ির বংশের কবির খান মসজিদটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কমিটির মেয়াদ শেষ হলে কয়েকদিন আগে তাকে পুনরায় সভাপতি করেন এলাকাবাসী। কিন্ত প্রতিপক্ষ মুরাদ খানসহ কাউছার, আলাউদ্দিন মিয়া গংরা কবির খানকে পুনরায় সভাপতির দায়িত্ব দিতে বাধা দেন। এ নিয়ে জুমার নামাজের পর দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হলে অন্তত ২৫ জন আহত হন। এসময় প্রতিপক্ষরা কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের নবীপুরা মসজিদের ইমাম নিয়োগ নিয়ে এলাকার নসব আলী ও বাবইরার বংশের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।  নসব আলীর বাড়ীর লোকজন আ. আওয়াল নামের একজনকে মসজিদের ইমাম নিয়োগ দেন। কিন্তু বাবইরার বাড়ির লোকজন তার নিয়োগ মানতে রাজি নয়। এ নিয়ে জুমার নামাজের পর দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লিটন মিয়া বলেন, মসজিদ কমিটির সভাপতির পদ নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন। কয়েকটি বাড়িঘরও ভাঙচুর-লুটপাট করা হয়। ঘটনাটি দুঃখজনক।

নবীপুর এলাকার বাবইরার বাড়ীর আহত সুমন বলেন, মসজিদের ইমাম নিয়োগকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

ভৈরব থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম বলেন, দুটি ঘটনা ধর্মীয় বিষয় নিয়ে। খবর পেয়ে পুলিশ দুই ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

আরকে