রোববার সকাল ৭টার দিকে চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন। ছবি- ঢাকা পোস্ট

দেশজুড়ে চলছে মাঝারি থেকে তীব্র দাবদাহ। এরমধ্যে রোববার (২৮ মে) সকালে চুয়াডাঙ্গায় দেখা গেছে কুয়াশা। গরমের মধ্যে কেন এমন কুয়াশা, এ নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুয়াশার ছবি শেয়ার করছেন।

জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দলিয়ারপুর গ্রামের যুবরাজ খান রিমন নামের এক ব্যক্তি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভোর থেকে হঠাৎ কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে প্রায় সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ছিল। ভরা গ্রীষ্মে এমন কুয়াশা দেখে প্রথমে দেখে অবাক হয়েছিলাম।

আনোয়ার নামে এক যুবক ঢাকা পোস্টকে বলেন, শীতকালের মতো ভোরেও ব্যাপক কুয়াশা ছিল। এর আগে গ্রীষ্মকালে কখনও কুয়াশা দেখিনি।

এদিকে আজ সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৮৯%।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক জামিনুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত কয়েক দিন বৃষ্টির ফলে বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই জলীয়বাষ্প ঊর্ধ্ব আকাশে না গিয়ে নিচের স্তরে ঘনীভূত হয়ে কুয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। এটাকে অস্বাভাবিক আবহাওয়া বলা হয়। এই অবস্থা সাধারণত শীতের সময় হয় কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এটা গ্রীষ্মকালেও হচ্ছে। তবে এটা নিয়ে চিন্তার তেমন কারণ নেই।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আওলিয়ার রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, একাধারে কয়েক দিন কুয়াশা পড়লে অ্যাজমা রোগীদের জন্য কষ্টদায়ক হয়ে পড়বে। দেরিতে রোদের দেখা মিললে ঠান্ডাজনিত রোগে অনেকেই আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। তবে দুই-একদিন কুয়াশা হলে তেমন সমস্যা হবে না।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ ভোরে কুয়াশা পড়েছে। যদি একাধারে ৫ থেকে ৬ দিন কুয়াশা হয় এবং বৃষ্টি না হয় তাহলে সবজিতে ছত্রাকজনিত রোগ দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে কৃষকদের পানি স্প্রে দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকি। তবে ১-২ দিন কুয়াশা হলে তেমন ক্ষতি হবে না।

আফজালুল হক/এমজেইউ