মরণোত্তর দেহদান করলেন ভোলার চরফ্যাশনের এক দম্পতি। গত ২৩ মে চরফ্যাশন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে হলফনামা সম্পাদনের মাধ্যমে তারা এ ঘোষণা দেন।

দেহদানকারী দম্পতি হলেন, ভোলার চরফ্যাশন পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পার্থ সারথী দেবনাথ ও তার স্ত্রী বেলী রানী দাস।

ওই দম্পতি হলফনামায় উল্লেখ করেন, মৃত্যুর পর তাদের মরদেহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোনো স্নাতক ও স্নাতকোত্তর চিকিৎসা শিক্ষাদানকারী প্রতিষ্ঠানে দান করছেন। তাদের মরদেহ বা এর কোনো অংশ মুনাফার উদ্দেশে কেনাবেচা করা যাবে না। এর আগে তারা ইস্পাহানী আই ব্যাংকে মরণোত্তর চক্ষুদান করেছেন বলেও জানানো হয়।

এ বিষয়ে পার্থ সারথী বলেন, আমাদের একটি চোখ একজন দৃষ্টিহীন মানুষকে দৃষ্টি ফিরিয়ে দিতে পারে, একটি অঙ্গ একজন অঙ্গহীন মানুষের চলার পথ সুগম করে দিতে পারে। এ চিন্তা থেকে আমি এবং আমার স্ত্রী মরণোত্তর দেহদানের সিদ্ধান্ত নেই।

চরফ্যাসন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শোভন কুমার বসাক ঢাকা পোস্টকে বলেন, মরণোত্তর দেহদান করায় তারা দেশ এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানে বীরের মর্যাদায় আসীন থাকবেন। তাদের এ উদ্দ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।

এবিএস