একসময় খাবার ছিল না এখন অভাব নেই
জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন
স্বাধীনতার পূর্বে মানুষ কেমন ছিল এবং পরে কেমন আছে এ নিয়ে বর্ণনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।
বুধবার (২৪ মার্চ) ও বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) নিজের ফেসবুকে ‘সাদা চোখে স্বাধীনতার ৫০ বছর’ শিরোনামে লেখাটি পোস্ট করেছেন তিনি। দুই পর্বের লেখাটিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা, শহীদদের প্রতি পরম শ্রদ্ধা, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অভিবাদন জানিয়েছেন হুইপ আবু সাঈদ।
বিজ্ঞাপন
‘সাদা চোখে স্বাধীনতার ৫০ বছর’ (১ম পর্ব) শিরোনামে ফেসবুক পোস্টে আল মাহমুদ স্বপন লিখেছেন, ‘যারা গ্রাম দেখেছেন তারা জানেন যে, স্বাধীনতার আগে, এমনকি পরেও গ্রামের অধিকাংশ নারীর পরনে ব্লাউজ ছিল না, পুরুষের গায়ে জামা দূরে থাক, স্যান্ডো গেঞ্জিও ছিল না। তার অর্থ তারা বেপর্দা ছিলেন, তা নয়। তারা সবাই পর্দানশীল ধর্মপরায়ণ ছিলেন। তাদের কাপড়, জুতা ও স্যান্ডেল কেনার সামর্থ্য ছিল না। আজকের চিত্র ভিন্ন। এখন গ্রাম, শহরে কোথাও এমন চিত্র দেখতে হয় না। এই ইতিবাচক পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে জাতির পিতার মহান নেতৃত্বে আমাদের পূর্বপুরুষেরা এক সাগর রক্তের বিনিময়ে একটি স্বাধীন ভূমি উপহার দিয়েছেন। অসীম কৃতজ্ঞতা বঙ্গবন্ধু, পরম শ্রদ্ধা মহান শহীদদের প্রতি, অভিবাদন বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ।’
দ্বিতীয় পর্বে তিনি লিখেছেন, ‘স্বাধীনতার পূর্বে আবাদি জমি ছিল বেশি, জনসংখ্যা ছিল কম। এখন আবাদি জমি কমেছে, জনসংখ্যা ব্যাপক বেড়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার পূর্বে, এমনকি পরেও ভূমিহীন, শ্রমজীবী মানুষ গৃহস্থের বাড়িতে একবেলা পেট ভরে খেতে পারতেন। আরেক বেলা আধা পেট খেতেন। তিন বেলা খাবারের সুযোগ ছিল না। সমগ্র জনসংখ্যার মধ্যে প্রয়োজনীয় ন্যূনতম খাদ্য না পাওয়ার সংখ্যাই ছিল সিংহভাগ। আজকের চিত্র ভিন্ন। এখন আর কোনো মানুষ না খেয়ে অথবা খাদ্যের অভাবে আধা পেট খেয়ে দিনাতিপাত করেন না। কেউ কেউ ডায়াবেটিস বা অন্য শারীরিক সমস্যায় আধা পেট খেয়ে বাঁচেন। এটি খাদ্যের অভাবে নয়, বরং যারা পেট ভরে খেতে পারেন না, তাদের বাসায় খাবারের সম্ভার বেশি। ১৯৭৫ সালের কালরাতে জাতির পিতাকে নৃশংসভাবে হত্যা না করলে এই অর্জন অনেক আগেই সম্ভব হতো।’
বিজ্ঞাপন
হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন আরও লিখেছেন, ‘আপামর জনগণের খাদ্যের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জাতির পিতার নেতৃত্বে আমাদের পূর্বপুরুষেরা এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমাদের জন্য একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন বলে।’
চম্পক কুমার/এএম