দেশে এখন এইচআইভি এইডস পজিটিভের সংখ্যা ১৪ হাজার বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরমধ্যে ৮ হাজার ৭৬১ জনকে সনাক্ত করা গেলেও বাকিরা রয়েছে আত্মগোপনে। ২০২১ সালের এক তথ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বের হয়েছে ৭২৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ২০৫ জন। আক্রান্তের মধ্যে রোহিঙ্গার সংখ্যা রয়েছে ১৮৮ জন। 

সোমবার সকালে কুড়িগ্রাম জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে ‘এইচআইভি এইডস শীর্ষক কর্মশালায়’ এসব তথ্য উঠে এসেছে। বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৯৩ ভাগ চিকিৎসার মাধ্যমে বেঁচে রয়েছে বলে এক তথ্যে উঠে এসেছে। তবে কুড়িগ্রাম জেলায় গত তিন মাসে প্রায় ৬ শতাধিক যক্ষ্মা রোগীকে স্কিনিং করা হলেও একজনের দেহেও এইচআইভি এইডস’র সিমটম পাওয়া যায়নি। মানুষের মধ্যে সচেতনা বাড়াতে এবং এইডস ভীতি থেকে মুক্ত করতে কর্মশালার আয়োজন করা হয়। 

অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় এইডস/এইসটিডি কন্ট্রোল বিভাগ। এসময় বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর-এ-মুর্শেদ, স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. তানভীর আহমেদ সুমন, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক ফারুক, সাংবাদিক হুমায়ুন কবির সূর্য প্রমুখ।

ডা. তানভীর আহমেদ সুমন জানান, এখন গর্ভবতী মাকেও ঠিকমতো চিকিৎসা করালে এইচআইভি এইডস থেকে তার নবজাতক সন্তানকে মুক্ত করা যায়। সরকার সারাদেশে টেস্টিং ব্যবস্থা বৃদ্ধি করতে ৬৪টি জেলাতেই স্বাস্থ্য বিভাগে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগ গ্রহণ করছে। বর্তমানে মোট জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ২৬ ভাগ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরমধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৫৩ দশমিক ৭ ভাগ, নারীর সংখ্যা ১৭ ভাগ এবং প্রবাসীর সংখ্যা ২০ ভাগ। এটি একটি যৌনবাহিত রোগ। সুস্থভাবে জীবনযাপন করলে মানুষ এইডস থেকে রক্ষা পাবে।

জুয়েল রানা/এমএএস