সুনামগঞ্জে জাল দলিলের মাধ্যমে মিথ্যা মামলা দায়ের করায় মামলার বাদী রিংকু দাসকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও তার বিরুদ্ধে নিজে বাদী হয়ে জালিয়াতির মামলা দায়ের করেছেন বিচারক।

বুধবার (৩১ মে) দুপুরে সুনামগঞ্জের সহকারী জজ আদালত বিশ্বম্ভরপুরের বিচারক মো. আরিফুর রহমান এই রায় প্রদান করেন এবং অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাদীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন।

রিংকু দাস বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার প্যারীনগর গ্রামের মৃত বীরেন্দ্র দাসের ছেলে।

বিশ্বম্ভরপুর সহকারী জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বিশ্বম্ভরপুর সহকারী জজ আদালতে রিংকু দাস বাদী হয়ে একই উপজেলার বাসিন্দা আসমত খান ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় তিনি তিনটি দলিল আদালতে দাখিল করেন। সাক্ষ্যপ্রমাণ পর্যালোচনার সময় বিচারকের নিকট তিনটি দলিলের মধ্যে একটি দলিল ভুয়া, অপরটি জাল এবং আরেকটি দলিল ঘষামাজা করে টেম্পারিং করা হয়েছে বলে স্পষ্ট প্রমাণিত হওয়ায় দায়ের করা মামলাটি খারিজ করে বাদীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। একইসঙ্গে আদালতে জাল দলিল দাখিল করায় বিচারক মো. আরিফুর রহমান নিজে বাদী হয়ে রিংকু দাসের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সুনামগঞ্জ সদর আমলি আদালত) জালিয়াতির মামলা দায়ের করেন।

সোহানুর রহমান সোহান/এমজেইউ