সিলেটের ওসমানীনগরে মাইক্রোবাসচালক আবদাল মিয়া (২৪) হত্যা মামলায় তিন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় এক আসামি খালাস পেয়েছেন।

বুধবার (৩১ মে) সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নুরে আলম ভূঁইয়া এ রায় ঘোষণা করেন বলে নিশ্চিত করেছেন আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. জুবায়ের বখত।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার কাগজপুর গ্রামের মৃত রফিক মিয়ার ছেলে ডালিম মিয়া, কানাইঘাটের ঝিংগাবাড়ি এলাকার রহমত উল্ল্যার ছেলে মো. দুলাল মিয়া ও সিলেটের বালাগঞ্জ জামালপুরের তোরাব আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন ওরফে আলীউর রহমান লখন। আর মামলার অপর আসামি আবু তালেব ওরফে ল্যাংড়া তালেবকে হত্যা মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

তিন আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় আরও ৭ বছরের কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৩৭৯ ধারায় তিন আসামিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. জুবায়ের বখত জানান, ২০১২ সালের ১৯ জুলাই ওসমানীনগরের কাগজপুর গ্রামের কবীর মিয়ার ছেলে আবদাল মিয়াকে দণ্ডিত আসামি ডালিম মিয়া গাড়ি বিক্রি করার জন্য বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরে তার মাইক্রোবাসটি (লাইটেস) বিক্রির জন্য বের করে আনলেও পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক সেটি ছিনতাই করে তাকে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনার পর নিহতের চাচা দবির মিয়া বাদী হয়ে ওসমানীনগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ডালিম ও দুলাল গ্রেপ্তারের পর ১৬৪ ধারায় আদালতে ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

তদন্ত শেষে আসামিদের অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিলের পর মামলাটি ২০১৪ সালে বিচারের জন্য এ আদালতে রেকর্ড করা হয়। আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর দীর্ঘ শুনানিতে ২৬ জন  স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন।

মাসুদ আহমদ রনি/আরকে