স্বীকৃতি পাচ্ছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪০ জন ক্ষীরশাপাতি আমচাষি
ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) আম উৎপাদনকারী হিসেবে স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪০ জন ক্ষীরশাপাতি আমচাষি। সম্প্রতি শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের বাণিজ্যিকীকরণের চ্যালেঞ্জসমূহ উত্তরণের উপায় শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য জানান, পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার জিল্লুর রহমান।
অনুষ্ঠানে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যে (জিআই) ক্ষীরশাপাতি আমচাষিকে স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে জেলার ৪০ জনের নাম রেজিস্ট্রেশন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে প্রধান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রার খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সরকারের প্রচেষ্টায় জিআই পণ্য ক্ষীরশাপাতি আমচাষি নিবন্ধন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে অধিদপ্তরে চাষিদের না গিয়ে তাদের দোরগোড়ায় এসে সেবা প্রদানের কার্যক্রম উদ্বোধন হলো। এতে চাষিরা লাভবান হবেন। আরও উন্নত হবে চাঁপাইনবাগঞ্জে ক্ষীরশাপাতি আমের বৈশ্বিক বাজার ব্যবস্থাপনা।
তিনি আরও বলেন, জিআই পণ্য হিসেবে ক্ষীরশাপাতি আমের ব্র্যান্ডিং প্রক্রিয়া আরও বাড়বে। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্ষীরশাপাতি আম দেশ ও বিদেশে আরও পরিচিত পাবে। আর এমনটা হলে চাষিরা নায্যমূল্য পাবেন।
বিজ্ঞাপন
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হায়াতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অধিদপ্তরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার জিল্লুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের (আম গবেষণা কেন্দ্র) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুনজের আলম, শিবগঞ্জ ম্যাঙ্গো প্রডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খান, শিবগঞ্জ ম্যাঙ্গো ফাউন্ডেশনের সভাপতি আহসান হাবিব প্রমুখ বক্তব্য দেন।
প্রসঙ্গত, ক্ষীরশাপাতি চাঁপাইনবাবগঞ্জের অত্যন্ত সুস্বাদু আম। বর্তমানে দেশের মোট উৎপাদিত আমের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ক্ষীরশাপাতি জাতের। এ জাতের আম প্রতিবছর রপ্তানি হওয়া আমের তালিকার শীর্ষে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বর্তমানে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের আম রপ্তানি হচ্ছে। ক্ষীরশাপাতি আমের বিপুল সম্ভাবনা বিবেচনা করে এর জিআই নিবন্ধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিশ্ববাজারে এটি ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্ষীরশাপাতি আম’ নামে পরিচিতি পাবে। ২০১৯ সালে এটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের জিআই পণ্য হিসেবে সরকার তালিকাভুক্ত করে।
মো. জাহাঙ্গীর আলম/এমএএস