ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখার মেয়রপ্রার্থী আব্দুল আউয়াল নাগরিক সেবা প্রদানে নির্বাচনী অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, আমি নির্বাচিত হলে, মানবিক কারণে পায়ে চালিত রিকশা, ভ্যান ও ঠেলাগাড়ির লাইসেন্স ফি মওকুফ করা হবে। ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজি-অটোবাইক এবং জ্বালানি তেলচালিত মাহেন্দ্রাসহ অন্যান্য হালকা যানসমূহের লাইসেন্স ফি অর্ধেক করা হবে। 

রোববার (৪ জুন ) নগরীর ৩০ ও ৩১ নং ওয়ার্ডের শিপইয়ার্ড বান্দা সিমেন্ট ফেক্টরী মোখতার হোসেন বাজার বান্দা বাজার জিন্নাহ পাড়া বাজার চানমারি বাজারে  ও বিকেলে ইস্টার্ন রোড, কমিউনিটি সেন্টার চানমারি খালপাড় মদিনা বাজার জিন্নাহ পাড়া বান্দার মোড় এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভায় তিনি এ কথা বলেন।

আব্দুল আউয়াল আরও বলেন, লাইসেন্স শুধুমাত্র প্রকৃত ড্রাইভারগণকে দেওয়া হবে। খুলনা সিটির বিভিন্ন গাড়ির স্ট্যান্ড ও মালামাল উঠা-নামার ঘাট সমূহে সব ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধ করা হবে। ৩০ শতাংশ হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করা হবে। ট্রেড লাইসেন্স ফি অর্ধেক করা হবে। এছাড়া কেসিসির বর্ধিতকরণ প্রকল্পে যে সব নতুন এলাকা সমূহ যুক্ত করা হয়েছে, সে সব এলাকার হোল্ডিং ট্যাক্স ৫ (পাঁচ) বছরের জন্য মওকুফ করা হবে। তাদের পানির লাইন বিনা খরচে প্রদান করা হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নতুন এলাকার রাস্তাঘাট ও স্যুয়ারেজ লাইন মানসম্মতভাবে স্বল্প সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে।

কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাস্তবসম্মত প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। টেকসই ও উন্নত রাস্তাঘাট নির্মাণ এবং জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেসিসিতে টেন্ডার হবে কিন্তু টেন্ডারবাজি হবে না। ই-টেন্ডারিং চালু করা হবে। কেসিসির সামগ্রিক আয়-ব্যয়ের রিপোর্ট প্রতিবছর প্রকাশ করা হবে।

তিনি বলেন, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা আজ মারাত্বক হুমকির মুখে। এ চরম দুরাবস্থার কারণ এবং তার সমাধান আমাদের উদঘাটন করতে হবে। হাজার হাজার কোটি টাকা বাজেট হওয়া সত্ত্বেও সিটি কর্পোরেশনে কাঙ্ক্ষিত মানের উন্নয়ন হলো না কেন? নাগরিক সুবিধা কেন নিশ্চিত হলো না এ জিজ্ঞাসা সব নাগরিকের। বারবার মুখোরোচক স্লোগানের ধোকায় আমরা আর কতবার নিপতিত হব। এ থেকে আমাদের সরে আসতে হবে ।

আব্দুল আউয়াল আরও বলেন, খুলনা সিটির এ দুরাবস্থার জন্য মূল কারণ হলো - দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি, অপরিকল্পিত কর্মকাণ্ড ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ক্ষমতাসীন দলের অশুভ প্রভাব-প্রতিপত্তি। এ কারণে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড টেকসই হয় না। সিটি কর্পোরেশন আজ একটি অশুভ কায়েমী স্বার্থবাদী গোষ্ঠীর সিন্ডিকেটে পরিণত হয়েছে। তা না হলে ঐতিহ্যবাহী শিল্পনগরী খুলনার সিটির এ করুণ দশা হতে পারে না। আমি নির্বাচিত হলে এ অবস্থার পরিবর্তন করব ইনশাআল্লাহ। অবস্থার পরিবর্তনের লক্ষ্যে আগামী ১২ জুন হাতপাখা মার্কায় ভোট দেবার আহ্বান জানান তিনি।

এ গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগরের কেসিসি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান পরিচালক নাসির উদ্দিন, সহকারী পরিচালক মুফতী আমানুল্লাহ, সমন্বয়নকারী মুফতি ইমরান হুসাইন, সহ-সমন্বয়কারী হাফেজ আসাদুল্লাহ গালীব, নির্বাচনী প্রধান এজেন্ট শেখ হাসান ওবায়দুল করিম, অর্থ সমন্বয়নকারী আবু গালিব, সহ সময়ন্বকারী রবিউল ইসলাম তুষার, মিডিয়া সমন্বয়কারী আব্দুল্লাহ আল নোমান, ফেরদৌস গাজী সুমন, গণসংযোগ সমন্বয়কারী সাইফুল ইসলাম, সহ-গণসংযোগ সমন্বয়কারী মঈন উদ্দিনসহ মিডিয়া সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল-মামুন, সহ মিডিয়া সমন্বয়ক এম এ সাদীসহ, মোস্তফা আল গালীব, হাবিবুল্লাহ মিসবাহ প্রমুখ। 

মোহাম্মদ মিলন/আরকে