বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় কলেজ শিক্ষার্থী মেয়েকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় মাকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগ উঠেছে উপজেলার চরবানিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) অপূর্ব মন্ডলের (৩৬) বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় শনিবার (৩ জুন) রাতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা চিতলমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও অভিযোগ তুলে নিতে ইউপি সদস্য ও তার লোকজন হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন বলে দাবি কলেজ ছাত্রীর পরিবারের। অভিযুক্ত অপূর্ব মন্ডল চিতলমারী উপজেলার চরবানিয়ারী বাওয়ালীপাড়া গ্রামের মৃত ব্রজেন্দ্র নাথ মন্ডলের ছেলে ও চরবানিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য।

ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর মা বলেন, অনেকদিন ধরে কলেজে যাওয়া-আসার পথে মেম্বার আমার মেয়েকে উত্যক্তসহ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। আমার মেয়েকে বিরক্ত না করার জন্য অনেকবার তাকে অনুরোধ করেছি। তারপরও সে আমার মেয়েকে হুমকি দেয়। গেল শুক্রবার (২ জুন) বেলা সাড়ে ১২টায় স্থানীয় রমেশ বিশ্বাসের বাড়ির সামনে বসে অপূর্ব মন্ডল ও তার ভাই নিমাই মন্ডল আমাকে এবং আমার মেয়েকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আমি তাদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে তারা আমাদের ওপর আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।

তিনি আরও বলেন, অপূর্ব বাঁশের লাঠি দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এছাড়া আমার মেয়ের কাপড়-চোপড় টেনে হিঁচড়ে শ্লীলতাহানী করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমাকে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে শনিবার রাতে অপূর্ব মন্ডল ও তার ভাই নিমাই মন্ডলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করি। এরপর থেকেই অপূর্ব ও তার লোকজন অভিযোগ তুলে নিতে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। আমি অপূর্বর সঠিক বিচার চাই।

অভিযোগ অস্বীকার করে চরবানিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য অপূর্ব মন্ডল বলেন, আমি এ ধরনের কোনো কাজ করিনি। এটা আমার বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র।

এ বিষয়ে চিতলমারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান বলেন, কলেজ ছাত্রীর মা অপূর্ব মন্ডল ও তার ভাই নিমাই মন্ডলের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেখ আবু তালেব/এবিএস