দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ উৎপাদন হওয়ায় আমদানি বন্ধ রেখেছিল সরকার। পর্যাপ্ত মজুত থাকলেও শুধুমাত্র আমদানি বন্ধের অজুহাতে কয়েক মাস ধরে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। দুই মাসের ব্যবধানে আড়াই থেকে তিনগুণ বেড়ে যায় পেঁয়াজের দাম। বিভিন্ন বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানেও পেঁয়াজের দামের লাগাম টানা যায়নি।

অবশেষে রোববার (৪ জুন) বিকেলে সরকার পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণা দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (৫ জুন) বিকেল থেকে দেশের অন্যতম বৃহত্তম স্থলবন্দর সোনামসজিদ দিয়ে শুরু হয়েছে পেঁয়াজ আমদানি। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বন্দরে পেঁয়াজবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার প্রভাত কুমার সিংহ। তিনি জানান, বিকেল থেকে পেঁয়াজবাহী ট্রাক প্রবেশ শুরু করেছে। আইপি অনুমোদন পাওয়া নথিপত্র পেলেই ট্রাক প্রবেশের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। 

পেঁয়াজ আমদানিকারক মাসুদ রানা জানান, সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়ার পর থেকেই আমরা কার্যক্রম শুরু করি। বিকেলের দিকে আমদানি শুরু হয়েছে। কয়েকজন আমদানিকারক পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন পেয়েছেন। 

সোনামসজিদ স্থলবন্দর পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম বলেন, বিকেল থেকে পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েক ট্রাক পেঁয়াজ এসেছে। কী পরিমাণ পেঁয়াজ আসলো তা সন্ধ্যার দিকে জানা যাবে।

উল্লেখ্য, ২ মাস ২০ দিন বন্ধ থাকার পর সোমবার (৫ জুন) সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। সর্বশেষ গত ১৫ মার্চ পেঁয়াজ এসেছিল সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে। এরপরই বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়।

জাহাঙ্গীর আলম/আরএআর