ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের দায়ের করা মামলায় রাজশাহীর বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদকে আদালতে হাজির করে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ জুন) বেলা পৌনে ১১টার দিকে তাকে একটি পুলিশ ভ্যানে করে শতাধিক পুলিশ পাহারায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

এসময় আদালত চত্বরে মামলার বাদী শামীম হক, সাক্ষী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের কয়েকশ নেতাকর্মী হাজির ছিলেন। তারা আদালত চত্বরে 'জয় বাংলা', 'জয় বঙ্গবন্ধু' ও 'বিএনপির দালালেরা হুশিয়ার সাবধান' বলে স্লোগান দেন।

সকাল ১০টা থেকে আদালত চত্বরে সরেজমিনে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগের পাশাপাশি সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দলে দলে আদালত চত্বরে ভীড় জমাতে থাকে। এরপর সকাল ১০টা ২০ মিনিটের দিকে চাঁদের একটি কুশপুত্তলিকা আদালত চত্বরে আনা হয়। এরপর বেলা পৌনে ১১টার দিকে ফরিদপুর জেলা কারাগার থেকে বিএনপি নেতা আবু সাঈদকে সামনে একটি পুলিশের গাড়ি পাহারায় পুলিশ ভ্যানে করে ফরিদপুর এক নম্বর আমলি আদালতের (সদর) বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তরুণ বাছাড়ের আদালতে হাজির করা হয়।পরে এজলাসে ১৫ মিনিট অবস্থানের পর তাকে আবার পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় চাঁদকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়।

আদালত চত্বরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ।

বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক বলেন, দেশে অনেক জায়গায় চাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। কিন্তু আমার দায়ের করা মামলায় প্রথম তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হলো। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার জেলা হিসেবে আমরা গর্বিত যে শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকিদাতা ফরিদপুরে দায়ের করা মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট হয়েছেন। এরপর বেলা সোয়া ১১টার দিকে চাঁদের কুশপুত্তলিকা কোর্ট পাড়ের স্বাধীনতা চত্বরে পোড়ানো হয়।

এ মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী জাহিদ ব্যাপারী বলেন, আবু সাঈদকে আজ শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে। এ মামলার শুনানি পরবর্তীতে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২৩ মে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. আবু সাঈদ চাঁদ (৬৫) প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ২০ কোটি টাকার মানহানি ও ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ মামলাটি দায়ের করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক (৬৫)।

জহির হোসেন/আরকে