‘ভোরবেলা সিলেট থেকে কাজের উদ্দেশ্যে ওসমানীনগরের দিকে রওনা দিয়েছিলাম পিকআপ ভ্যানের সামনে বসে। ঢাকা সিলেট মহাসড়কের নাজিরবাজার এলাকায় হঠাৎ করে বিপরীতমুখী একটি ট্রাক আমাদের দিকে ছুটে এসে সজোরে ধাক্কা দেয়। এরপরেই যেন মুহূর্তেই লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় আমাদের সবকিছু।’ — এভাবেই ঢাকা পোস্টকে কথাগুলো বলছিলেন দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহত সায়েদ নুরের ভাই শের ইসলাম (৫৫)।

তিনি জানান, বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকটি রাস্তার বামদিক থেকে সিলেটের দিকে এগোচ্ছিল। আমাদের পিকআপ থেকে আনুমানিক ৫০ ফুট দূরে থাকা অবস্থায় আচমকা ডান দিকে ছুটে আসে তখন আমাদের গাড়ির চালক ডান দিকে স্টিয়ারিং ঘুরায় কিন্ত ট্রাকটিও তার গতিপথ পরবর্তন করে আমাদের দিকে চলে আসে এবং সংঘর্ষ ঘটে। মাল বোঝাই ট্রাকটির ধাক্কার পর বিকট একটি শব্দ হয়। আমাদের গাড়িটিও দুমড়ে মুচড়ে পড়ে যায়। কীভাবে হাত দিয়ে গাড়ির (পিকআপ ভ্যানের) গ্লাস ভেঙে বাইরে এসেছি তা একমাত্র আল্লাহ জানেন।

আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ১৪

সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ঘটনাস্থলে ১১ জন ও হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও তিনজন মারা যান।

সিলেটের মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন, নিহতদের স্বজনরা তাদের নাম পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। মরদেহগুলো সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহগুলো তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

প্রসঙ্গত, আজ বুধবার (৭ জুন) সিলেটের নাজিরবাজারে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ট্রাক ও পিকআপের সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১২ জন। ভোরে ৫টা ৩৯ মিনিটে দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

মাসুদ আহমদ রনি/আরকে