চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলামকে পেটানো ও আটকে রাখার ঘটনায় খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউ‌নিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে সাম‌য়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভা‌গের সি‌নিয়র সহকারী স‌চিব জেসমিন প্রধান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।  

গত ৫ জুনের প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা যায়, খুলনার কয়রা উত্তরচক আ‌মিনীয়া বহুমুখী কা‌মিল মাদরাসায় অধ্যক্ষ নি‌য়োগ প‌রীক্ষায় ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলামকে মনো‌নীত করা হয়। নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালে মাদরাসার সভাপতি ও মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বিশেষ একজন আবেদনকারীকে বেশি নম্বর প্রদানপূর্বক নিয়োগ প্রদানের জন্য তাকে চাপ প্রয়োগ করেন। ওই নিয়োগ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে মতপার্থক্য জনিত কারণে মাদরাসার সভাপতি ও মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদের নেতৃত্বে ড. নজরুল ইসলামকে প্রহার করা হয় এবং মূল্যবান দ্রব্যসামগ্রী ছিনিয়ে নিয়ে প্রায় ৪ ঘণ্টা জিম্মি করে রাখায় স্থানীয় সরকার খুলনা জেলা প্রশাসক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেন।

উল্লিখিত অভিযোগে তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে। এমন অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় স্থানীয় সরকার অপরাধ সংঘটিত করায় উল্লিখিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে স্বীয় পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

প্রসঙ্গত, ১ জুন কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণপূর্বক জামিনের আবেদন করেন ওই মাদরাসার ম্যানে‌জিং কমিটির সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদসহ ৪ জন। তবে শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠা‌নোর আদেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজহারুল ইসলাম। মামলার অপর তিনজন হলেন, মাওলানা মাসুদুর রহমান, মাওলানা মজিবুর রহমান ও রাসেল। 

মোহাম্মদ মিলন/এমএএস