সাতক্ষীরা সদর থানাধীন কাটিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নারায়ণ চন্দ্র মন্ডল এক মাদকসেবীর ছুরিকাঘাতে জখম হয়েছেন। বুধবার (৭ জুন) রাত পৌনে ৮টার দিকে সদরের মিলবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হামলাকারী মাদকাসক্ত ইয়াছিন আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত ইয়াছিন আলী (২৬) সাতক্ষীরা সদরের মাগুরা গ্রামের মৃত জিয়াদ গাজীর ছেলে।

মিলবাজারের ব্যবসায়ী হাসানুজ্জামান ও মনিরুল ইসলাম জানান, বুধবার রাত পৌনে ৮টার দিকে সাতক্ষীরার ৩৩ বিজিবি ক্যাম্পের প্রাচীরের পার্শ্ববর্তী পুকুরের পাশে মাগুরার কুখ্যাত মাদকসেবী ইয়াছিনকে ধরতে যান কাটিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী এএসআই নারায়াণ চন্দ্র মন্ডল ও একজন সিপাহী। এ সময় ইয়াছিন দৌড়ে পালাতে গেলে তাকে ধরে ফেলেন নারায়ণ মন্ডল। বেগতিক বুঝে ইয়াছিন তার কাছে থাকা ছুরি দিয়ে নারায়ণের উপর আঘাত করে। যদিও পরে ইয়াছিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। নারায়ণ মন্ডলকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

তারা আরও জানান, ইয়াছিন একজন কুখ্যাত মাদকসেবী। সম্প্রতি তার ছুরির আঘাতে মাগুরা গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা গাউস, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আসাদুজ্জামান ও কর্মকারপাড়ার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র জয়দেব কর্মকারসহ কয়েকজন জখম হয়েছেন।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রওশন দাঈমী বলেন, পুলিশ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র মন্ডলের শরীরের কয়েকটি স্থানে ধারালো কিছু জিনিস দিয়ে কেটে যাওয়ার চিহ্ন রয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক নজরুল ইসলাম জানান, ছেলের অত্যাচারে বাড়িতে ঢুকতে না পেরে ইয়াছিনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি থানায় অভিযোগ করেন তার মা রোকেয়া খাতুন। সেই কারণে সহকারী উপ-পরিদর্শক নারায়ণ মন্ডল বুধবার রাত পৌনে ৮টার দিকে মিলবাজার এলাকায় ইয়াছিনকে ধরতে গেলে তার সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়। এতে নারায়ণ মন্ডলের শরীরের কয়েকটি স্থানে চামড়া ছুলে গেছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইয়াছিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোহাগ হোসেন/আরকে