সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের একটি নির্মাণাধীন ভবনে কাজ করা নয়ন (২০) নামের এক শ্রমিককে চুরির অপবাদে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া আরও এক শ্রমিককে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৯ জুন) সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে আটক করেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী মাহমুদ ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত নয়ন বিশ্বনাথ থানার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। আর আহত শ্রমিকের নাম আইয়ুব আলী (২৬)। তিনি রংপুরের বাসিন্দা ও ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নির্মাণাধীন ভবনে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত।

আটককৃতরা হলেন- দিনাজপুরের রুবেল (৩২), কুড়িগ্রামের আমিনুল ইসলাম, আয়নাল ও সাবান আলী। তারা সবাই ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নির্মাণাধীন ভবনের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিক ফজলুল হক বলেন, আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আমাদের দুইজন শ্রমিক নয়ন ও আইয়ুব আলীকে ১ লাখ ৩৭ হাজার টাকা ও চারটি মোবাইল চুরির অভিযোগে একটি রুমে নিয়ে ব্যাপক মারধর করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ঠিকাদার ও ম্যানেজারের লোকজন। পরে আহত অবস্থায় সকাল সোয়া ৯টার দিকে নয়নকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে অন্যান্য শ্রমিকের দেওয়া তথ্যমতে পুলিশ আরও এক শ্রমিককে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরণ করে।

এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, শ্রমিক খুনের ঘটনায় আমরা এ পর্যন্ত চারজনকে আটক করেছি। আসলেই কী চুরির কোনো ঘটনা ঘটেছিল বা অন্য কোনো কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অপরাধী যেই হোক কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

মাসুদ আহমদ রনি/এমজেইউ