বরিশাল সিটি নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্ট নৌকার প্রার্থী
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ। তিনি বলেছেন, অত্যন্ত চমৎকার পরিবেশ বিরাজ করছে। ভোটের পরিবেশে আমি সন্তুষ্ট।
রোববার (১১ জুন) দুপুর দেড়টায় সার্কিট হাউস সংলগ্ন নৌকা প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ বলেন, সবকিছু ম্যান টু ম্যান ভেরি করে। বিজয়ী হলে বরিশালের উন্নয়ন করার নিশ্চয়তা দিয়েছি। যার কারণে জনগণ আমাকে ভোট দেবে। সেইসঙ্গে বিএনপির সমর্থকরাও মনে করছেন, আমাকে ভোট দিতে পারলে নগরবাসী সেবা পাবে। দলমত নির্বিশেষে সব মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমাকে ভোট দেবে বলে আমার বিশ্বাস।
নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের অভিযোগের প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি সরকার দলের প্রার্থী। আমার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ থাকতেই পারে। যে কেউ অভিযোগ করতে পারেন। কোনো বিষয়ে আমি পাল্টা জবাব দিতে চাই না। তবে আমি বলব, নির্বাচনের পরিবেশ ভালো আছে। এখানে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।
বিজ্ঞাপন
ভোটের জন্য বস্তিতে অর্থ বিতরণ, সিটিতে বহিরাগতদের বিচরণসহ জাতীয় পার্টির প্রার্থীর তোলা বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব অভিযোগ সঠিক নয়।
সিটি নির্বাচনের প্রভাব জাতীয় নির্বাচনে পড়বে কিনা জানতে চাইলে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ বলেন, এ ধরনের নির্বাচনের প্রভাব জাতীয় নির্বাচনে পড়বে না বলে আমার ধারণা। আমি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিয়েছি। ধর্মকে কেউ যদি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে সেটা তারাই খতিয়ে দেখবে।
সংবাদ সম্মেলনে তার নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট আফজালুল করিম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, সাবেক সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ভোট চাইতে গিয়ে ধর্মকে ব্যবহারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ঢাকা পোস্টকে মুঠোফোনে নির্বাচনী সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট আফজালুল করিম জানিয়েছেন, একটি পক্ষ ধর্মকে ব্যবহার করছেন। নির্বাচনে বিজয়ের জন্য তারা পবিত্র কুরআন ব্যবহার করে মানুষকে শপথ পড়াচ্ছেন। আবার অনেক স্থানে বলছেন হাতপাখায় ভোট না দিলে কবিরা গুনাহ হবে।
তিনি আরও বলেন, এর আগে অনেক স্থানে ধর্মীয় উসকানি দিয়ে উন্মাদনা সৃষ্টি করা হয়েছিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উসকানি দিয়ে সহিংসতা করা হয়েছিল। বরিশালে ধর্মকে ব্যবহার করা হচ্ছে। যা সম্পূর্ণরূপে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন। এ বিষয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিয়েছি। তারা কী ব্যবস্থা নিয়েছেন তা জানি না। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনের ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, আগামীকাল সোমবার বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। এই নির্বাচনে ৩০টি ওয়ার্ডে ১২৬টি কেন্দ্রের ৮৯৪টি কক্ষে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন। ভোট পর্যবেক্ষণে ১ হাজার ১৪৬টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
ভোটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চার হাজার ৪০০ পুলিশ, আনসার, এপিবিএন, র্যাব দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। একইসঙ্গে ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন।
নির্বাচনে সাতজন মেয়র প্রার্থীসহ মোট ১৬৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমজেইউ