গোপালগঞ্জ শহরের বিভিন্ন পথে পথে ঘুরে বাদাম বিক্রি করা শারীরিক প্রতিবন্ধী রাকিব শিকদারের (১৬) পাশে দাঁড়ালেন বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খন্দকার রবিউল ইসলাম। 

রাকিব শিকদার বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার গাড়ফা গ্রামের ছিকু শিকদারের ছেলে। রাকিবের এক হাত অচল । স্পষ্টভাবে কথাও বলতে পারে না। তবে শারীরিক এই প্রতিবন্ধকতা রাকিবকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। জীবনযুদ্ধে মাথা উঁচু করে লড়াই করে যাচ্ছে সে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে একটু সুখে থাকার আশায় রোজ এক হাতে বাদাম নিয়ে গোপালগঞ্জ শহরের রাস্তায় ঘুরে বেড়ান বিক্রির আশায়। 

গত ৮ জুন রাকিবকে নিয়ে জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্টে ‘আমি ভিক্ষা করি না, হালাল পথে কামাই করে খাই’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর বিষয়টি নজরে আসে মোল্লাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলামের। গতকাল সোমবার (১২ জুন) দুপুরে তিনি রাকিব ও তার পরিবারের সদস্যদের উপজেলা পরিষদের নিজ অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে  একটি মুদি দোকান করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। 

ইউএনও খন্দকার রবিউল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন আগে মোল্লাহাটের গাড়ফা গ্রামের  শারীরিক প্রতিবন্ধী রাকিবকে নিয়ে  ঢাকা পোস্টে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি নজরে আসে আমাদের। আমরা রাকিব ও তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের যে অসচ্ছল পুনর্বাসন প্রকল্প রয়েছে সেখান থেকে রাকিবকে একটি মুদি দোকান করে দেওয়ার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। আশা করি শিগগিরই দোকানের কাজে হাত দিতে পারবো। 

এ বিষয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী রাকিব শিকদার বলেন, ‘ইউএনও স্যার আমারে দোকানটা দিলে আমার একটা শান্তি হবেনে। আমাকে আর পথে পথে বাদাম বিক্রি করতে হবে না। স্যারের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করবো।’ 

রাকিবের বাবা ছিকু শিকদারের বলেন, ‘আমাদের ইউএনও স্যার আমার ছেলেরে একটা দোকান দিতে চেয়েছে। দোকানটা হলে আমার প্রতিবন্ধী ছেলেটার আর পথে পথে বাদাম বিক্রি করতে হবে না। আল্লাহর কাছে নামাজ পড়ে ইউএনও স্যারের জন্য দোয়া করবো।’ 

আশিক জামান/আরএআর