ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র দুই সপ্তাহ। প্রতি বছর ঈদের আগ মুহূর্তে নানা আকৃতি ও দামে আলোচনায় আসে বাহারি নামের গরু। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে রাজবাড়ীর ‘টাইগার’ ও ‘ডিপজল’ নামের দুইটি ষাঁড়।

ষাঁড় দুইটির মালিক তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মো. এরশাদ শেখ (২৫)। এবার ঈদে ষাঁড় দুইটি বিক্রি করে খামারের আয়তন আরও বড় করবেন বলে স্বপ্ন দেখছেন এরশাদ শেখ।

খামারি মো. এরশাদ শেখ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের রাজধারপুর ছোট ভেল্লাবাড়িয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।

সরেজমিনে দেখা যায়, নিজের বাড়ির উঠানে গোয়ালঘরে লাল ও কালো রঙের ষাঁড় দুটিকে কাঁচা ঘাস খাওয়ানো হচ্ছে। ষাঁড় দুটিকে দেখতে অনেকেই ভিড় করেছেন এই বাড়িতে।

তরুণ খামারি ও উদ্যোক্তা এরশাদ শেখ ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত ৪ বছর ধরে আমি ও আমার বাবা নরজুল ইসলাম ষাঁড় দুটিকে অনেক আদর-যত্নে কাঁচা ঘাস, খড়, খৈল, ঘমের ভুসি, ভুট্টাসহ দানাদার খাবার খাইয়ে বড় করেছি। এবারের কোরবানির ঈদে ষাঁড় দুটি বিক্রি করবো। লালটার ওজন ৯ মণ। নাম দিয়েছি টাইগার। আর কালো ষাঁড়টির ওজন ৭ মণ। আদর করে নাম দিয়েছি ডিপজল। গো-খাদ্যের দাম বাড়তি হওয়ায় খরচ অনেক বেশি হয়েছে। ষাঁড় দুটি বিক্রি করে খামারটি আরও বড় করবো। টাইগারের দাম ৩ লাখ ও ডিপজলের দাম আড়াই লাখ টাকা চাচ্ছি।

টাইগার ও ডিপজলকে দেখতে আসা কবির হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ফেসবুকে টাইগার ও ডিপজলকে দেখে খামারি এরশাদের বাড়িতে এসেছি। ষাঁড় দুটি দেখতে অনেক সুন্দর। দরদাম চলছে।

আরেক ক্রেতা সাইদ খোন্দকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ষাঁড় দুইটি ভালো। কালো রঙের ডিপজল ৭ মণের মতো। আমি দেড় লাখ টাকা দাম বলেছি। খামারি চাচ্ছেন আড়াই লাখ টাকা।

রাজবাড়ী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ফজলুল হক সরদার ঢাকা পোস্টকে জানান, এ বছর রাজবাড়ী জেলায় সাড়ে আট হাজার খামারে ৫৪ হাজার ৫২৫টি কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। সরকারি হিসাব মতে, এ বছর ১৪ হাজার ৯৮৫টি ষাঁড়, ৩৩ হাজার ১০টি ছাগল, ছয় হাজার ২০০টি গাভি, ৩০টি মহিষ, ৩০০টি ভেড়া কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ বছর রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন পশুর হাটে রোগাক্রান্ত পশু শনাক্ত ও চিকিৎসাসেবা প্রদানে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে ভেটেনারি মেডিকেল টিম থাকবে।

মীর সামসুজ্জামান/এমজেইউ