এবার সেই আইনজীবীর বিরুদ্ধে ভাইদের সংবাদ সম্মেলন
‘ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাড. আশিকুর রহমানকে রড দিয়ে মারধর করেননি অতিরিক্ত ডিআইজি এনামুল কবির। শুনানিকালে আশিকুর রহমান পরিবারের ভাই-বোনদের উপস্থিতিতে মায়ের ওপর উত্তেজিত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আশিকুর রহমানকে একটি থাপ্পড় দিয়ে তাকে নিভৃত করেন অতিরিক্ত ডিআইজি এনামুল কবির।’
শুক্রবার (১৬ জুন) বিকেলে ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন অ্যাড. আশিকুর রহমানের বড় ভাই গোলাম মোহাম্মদ সোহেল। এসময় অ্যাড. আশিকুর রহমানের অপর ভাই ইমরুল কায়েস বিপ্লব, তারেক রহমান, মিজানুর রহমানের স্ত্রী তাহমিনা চৈতি ও তার মা নাজনীন খান উপস্থিত ছিলেন। তাদের বাড়ি ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা শিমুলিয়া পাড়ায়।
বিজ্ঞাপন
সংবাদ সম্মেলনে গোলাম মোহাম্মদ সোহেল বলেন, গত মাসে ঢাকা থেকে বাড়ি এসে আমার ছোট ভাই অ্যাড. আশিকুর ও সুমন আমাকে বেধড়ক মারধর করে রক্তাক্ত করে। এ নিয়ে ত্রিশাল থানায় অভিযোগ দাখিল করি। কিন্তু আসামি না ধরে কালক্ষেপণ করতে থাকে পুলিশ। পরে বিষয়টি নিয়ে সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করি। এমন খবর পেয়ে আশিকুর ও সুমন আমাদের ছোট ভাই পুলিশের এসআই পদে কর্মরত মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও কুরুচিপূর্ণ কাল্পনিক তথ্য সাজিয়ে রেঞ্জ ডিআইজি বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করে।
তিনি বলেন, পরে গত ১৪ জুন (বুধবার) ডিআইজি কার্যালয়ে অতিরিক্ত ডিআইজি এনামুল কবিরের কক্ষে উভয়পক্ষ শুনানিতে বসি। শুনানিকালে মা ও সাত ভাইসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলাম। শুনানিকালে মা সত্য কথা বলায় আশিকুর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করে। এসময় অতিরিক্ত ডিআইজি তাকে নিভৃত করার চেষ্টা করেন এবং একটি থাপ্পড় দেন।
বিজ্ঞাপন
গোলাম মোহাম্মদ সোহেল অভিযোগ করে বলেন, আশিকুর আমাদের সবার ছোট ভাই। তার অত্যাচারে পুরো পরিবার অতিষ্ঠ। মা অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হওয়ায় পেনশনের টাকা আমাদের পরিবারের জন্য কাল হয়েছে। প্রায় মায়ের পেনশনের টাকা আশিকুর ও অপর ভাই সুমন জোরপূর্বক নিয়ে যাচ্ছে। তারা মাকে চাপ সৃষ্টি করে থাকে। এ নিয়ে আমরা প্রতিবাদ করায় আমাদের পাঁচ ভাইয়ের সঙ্গে এই ভাইয়ের দ্বন্দ্ব।
উল্লেখ্য, অ্যাড. আশিকুর রহমানকে মারধরের অভিযোগে বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি এনামুল কবিরের বরখাস্ত দাবি করা হয়। সেই সঙ্গে রড দিয়ে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগে জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারা জরুরি সভা ডেকে ঘটনার তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানান।
কেএ