প্রতীকী ছবি

মাদারীপুর সদর উপজেলার কুকরাইল এলাকায় মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে সাইফুল বেপারী (১৫) নামে এক কিশোরের হাত বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। তাকে বাঁচাতে যাওয়া ফয়সাল বেপারী নামে আরেক যুবককেও এসময় কুপিয়ে গুরুতর আহত করে হামলাকারীরা। বিপুল রক্তক্ষরণের ফলে ওই দুইজনের জীবন শঙ্কায় পড়েছে। তাদের ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। 

রোববার (১৮ জুন) সন্ধ্যার দিকে মাদারীপুর সদরের কুকরাইল এলাকার পুকুর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।

মাদারীপুর সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যার দিকে মোবাইল ফোনে কল পেয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যান সাইফুল। অনেক্ষণ পরও না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজতে থাকেন। এক পর্যায়ে ছয়না এলাকার পুকুর পাড়ে পাওয়া যায় সাইফুলকে। সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল সে। পাশে আরেক যুবককেও পাওয়া যায় আহত অবস্থায়। 

তাদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা। অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।

আহত সাইফুল ইসলামের বোন ফারজানা আক্তার বলেন, আমার আর কোনো ভাই নেই। সে আমার একটা মাত্র ভাই। আমরা গরিব মানুষ, আব্বায় আর ও কাজ করে আমাদের সংসার চালায়। আমার ভাই আর কাজ করতে পারবে না। ওরা ভাইয়ের হাত শেষ করে দিল। ও এখন কী করে খাবে আর কীভাবে চলবে? যারা আমার ভাইয়ের এই দশা করেছে আমি তাদের বিচার চাই। 

এদিকে আহত  ফয়সালের ভাই রাসেল বলেন, আমার ভাইয়ের সাথে কারো কোনো বিরোধ নেই। সে কাজ করে খায়। সে সাইফুলকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে। এটি পরিকল্পিত হামলা, আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. রিয়াজ মাহমুদ বলেন, সন্ধ্যার দিকে কুকরাইল থেকে ২ জনকে নিয়ে আসা হয়। তাদের একজনের হাত বিচ্ছিন্ন ছিল। আরেকজনের অবস্থাও তেমন ভালো না থাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দুজনকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কারা হামলা করেছে সাইফুল ও ফয়সালের ওপর তা এখনো নিশ্চিত নয় পুলিশ। স্বজনরাও এখনো সুনির্দিষ্ট কারো নামে অভিযোগ করেননি।

এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, বিষয়টি শুনে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাকিব হাসান/