৩০ মণ ওজনের রাজাবাবুর দাম ১৫ লাখ
দেখতে ধূসর এবং কিছুটা ছাই রঙের। ওজন ৩০ মণ (১২০০ কেজি)। বিশাল আকৃতির এ ষাঁড়টি নাম রাখা হয়েছে ‘রাজাবাবু’। দাম চাওয়া হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা কিন্তু ১০ লাখ টাকার বেশি কেউ দাম বলছেন না।
বিশাল আকৃতির এই ষাঁড়ের মালিক নাটোরের সিংড়া পৌর শহরের উত্তর দমদমা মহল্লার সুইচগেট সংলগ্ন কৃষক আলম মোল্লা। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাদ্য খেয়ে বেড়ে ওঠা এই আকর্ষণীয় রাজাবাবু এখন তার ছোট্ট সংসারে বড় স্বপ্ন।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, প্রায় ৪ বছর আগে সিংড়া প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে একটি দেশীয় গরুর কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে এই ষাঁড়ের জন্ম হয়। জন্মের পর থেকেই মায়ের মমতায় লালন পালন শুরু করেন। শুধুমাত্র দেশীয় খাবার কাঁচা ঘাস, খড়, খৈল, গমের ভুসি, ভুট্টা, ভাত খাইয়ে ষাঁড়টিকে বড় করে তুলেছেন। ষাঁড়টির সব সময় প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের পরামর্শে পরিচর্যা নেওয়া হয়েছে। এখন কুরবানির ঈদে ষাঁড়টিকে বিক্রয়ের কথা বলায় প্রতিনিয়তই সেটিকে দেখতে বাড়িতে ভিড় জমছে।
বিজ্ঞাপন
ষাঁড়ের মালিক আলম মোল্লা বলেন, প্রায় চার বছর ধরে ছোট্ট একটি বাছুরকে তিল তিল করে মায়ের মমতা দিয়ে অতি যত্নে লালন পালন করে আসছি। শুধু দেশীয় খাবার খাইয়ে বড় করেছি। আদর করে নাম দিয়েছি ‘রাজাবাবু’। আর আদরের রাজাবাবুটি এখন তার ছোট্ট সংসারে বড় স্বপ্ন দেখাচ্ছে। ইতোমধ্যে ১০ লাখ টাকা দাম বললেও আশা করছি আরও দাম পাব। আমি ১৫ লাখ টাকা দাম চাচ্ছি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কে এম ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, আমার জানা মতে উপজেলার সবচেয়ে বড় ষাঁড় এই রাজাবাবু। প্রায় চার বছর আগে তার কার্যালয় থেকে একটি দেশি গাভীকে ব্রাহমা জাতের প্রজননের মাধ্যমে এই ষাঁড়ের জন্ম। তারপর থেকেই প্রাকৃতিক খাদ্য খেয়েই বড় হয়ে উঠেছে ষাঁড়টি। আর প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের পাশেই বিধায় তিনি সব সময় খোঁজখবর রাখেন।
তাপস কুমার/আরকে