রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট এলাকায় পদ্মা নদীতে গোসল করতে গিয়ে রবিন শেখ (১২) নামে এক স্কুলছাত্র নিখোঁজ হয়। ঘটনার ৩২ ঘণ্টা পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২১ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ক্যানাল ঘাট এলাকায় মরদেহটি ভেসে ওঠে। পরে ফায়ারসার্ভিস কর্মীরা মরদেহ উদ্ধার করে।

এর আগে গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ক্যানেল ঘাট এলাকার পদ্মার একটি শাখা নদীতে বন্ধুদের সঙ্গে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয় রবিন। রবিন দৌলতদিয়া ক্যানেল ঘাট এলাকার কাইমউদ্দিন মোল্লা পাড়ার রফিক শেখের ছেলে। সে দৌলতদিয়া ইউনিয়নের বড় সিংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র।

রবিনের মামা ইমন আলি জানান, সকালে রবিনের বড় বোনের ছেলে সাজ্জাতের সঙ্গে নদীতে গোসল করতে যায়। নদীতে প্রচণ্ড স্রোত থাকায় সে পানিতে তলিয়ে যায়। এসময় অন্য শিশুদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে উদ্ধারের চেষ্টা করে এলাকাবাসী। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকর্মী এবং মানিকগঞ্জে ডুবুরির দল সম্মিলিতভাবে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। নিখোঁজের ৩২ ঘণ্টা পর তার মরদেহ ক্যানাল ঘাট এলাকায় ভেসে ওঠে। পরবর্তীতে ফায়ারসার্ভিস কর্মীরা মরদেহটি উদ্ধার করে।

এদিকে উদ্ধার অভিযান চলাকালে পানির নিচেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ইউনিটের সদস্য মো. তানভীর। এসময় তার সহকর্মীরা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা শেষে তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

গোয়ালন্দ উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুর রহমান জানান, এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমরা ও মানিগঞ্জের ডুবুরি টিম এসে উদ্ধার কাজ শুরু করি। সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চলে। অন্ধকার হয়ে এলে উদ্ধার কাজ বন্ধ রাখি। বুধবার পুনরায় সকাল থেকে ডুবুরি দল আবার উদ্ধার কাজ শুরু করে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে মরহেদটি স্থানীয়রা ভেসে উঠতে দেখে। পরে মরদেহটি আমরা উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের একজন ডুবুরি দলের সদস্য উদ্ধার কাজ করতে গিয়ে পানির নিচ থেকে মুখের অক্সিজেন খুলে যায়। পরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়। এখন হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে তিনি আগের থেকে সুস্থ আছেন।

মীর সামসুজ্জামান/আরকে