নেশাগ্রস্তদের অজ্ঞান করে নেওয়া রক্ত বিক্রি করতেন হাসপাতালে
প্রথমে অভাবগ্রস্ত ও নেশাগ্রস্তদের কৌশলে বাসায় নিয়ে অজ্ঞান করা হতো। তারপর শরীর থেকে রক্ত বের করে ১ হাজার ২০০ টাকার বিনিময়ে সেগুলো বিক্রিও করা হতো। সাভারে আব্দুল জলিল (৫৬) নামের এমনি এক রক্ত ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুর ১২টার দিকে সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) নয়ন কারকুন। এর আগে গভীররাতে সাভারের থানা রোডের ওয়েল ফুডের ২য় তলায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
বিজ্ঞাপন
গ্রেপ্তার আবদুল জলিল পাবনা জেলার চাটমোহর থানার মৃত ইমান আলীর ছেলে। তিনি সাভারের থানা রোডের ওয়েল ফুডের ২য় তলায় ভাড়া থেকে প্রায় বছর এক বছর ধরে রক্ত সংগ্রহ করে বিক্রি করছেন।
আটক জলিল বলেন, 'রক্ত তো জোর করে নেওয়া সম্ভব নয়। কৌশলেই নিতে হয়। আমি ভুল স্বীকার করছি। এসব রক্ত রাজধানীর পান্থপথের আলিফ, কলেজ গেইটের বাংলাদেশ ব্লাড ব্যাংক ও গ্রীনরোডের নিরাপদ হাসপাতালে ১২০০ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেছি।'
বিজ্ঞাপন
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় সাভারের থানা রোডে অভাবগ্রস্তদের কৌশলে বাসায় ডেকে নিয়ে অজ্ঞান করতো জলিল। পরে পূর্ব অভিজ্ঞতার আলোকে তাদের শরীর থেকে রক্ত সংগ্রহ করে বিক্রি করতেন। এমন খবর পাওয়ামাত্র অভিযানে নামে পুলিশ। পরে রাতে জলিলকে আটক করা হয়। এসময় তার সংগ্রহে থাকা ১০ ব্যাগ রক্ত ও রক্ত সংগ্রহের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
সাভার মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) নয়ন কারকুন বলেন, আটকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তার অপকর্মের কথা তিনি স্বীকার করেছেন।
মাহিদুল মাহিদ/আরকে