নাশকতার দুটি মামলায় খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ ৬৩ জন নেতাকর্মী খালাস পেয়েছেন।

সোমবার (২৬ জুন) দুপুরে জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সাইফুজ্জামান হিরো এ রায় ঘোষণা করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মওলা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর সোনাডাঙ্গা থানার এসআই মো. আজহারুল ইসলাম বাদি হয়ে বিএনপির ১৩ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয় আরও ১১০/১২০ জনকে আসামি করে সোনাডাঙ্গা থানায় নাশকতার মামলা করেন। মামলার এজাহারে খুলনা বেতারে হামলা চালিয়ে ধ্বংসের প্রস্তুতি ও সরকার উৎখাতের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা থানার এসআই উত্তম কুমার মিত্র তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই আদালতে বিস্ফোরক আইনে একটি এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি চার্জশিট দাখিল করেন। দুটি মামলাতেই মহানগর বিএনপির তৎকালীন সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান মুরাদসহ ৬৬ জনকে আসামি করা হয়।

২০১৯ সালের ২৮ আগস্ট বিচারের জন্য মামলাটি সিএমএম আদালত থেকে মহানগর স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে আসে। ২০২২ সালের ৯ নভেম্বর জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার বিচার কাজ শুরু হয়। চলতি বছরের ২২ মার্চ আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়।

মামলা চলাকালীন মো. অহিদুজ্জামান খোকন, মো. আব্দুল জলিল ও ইফতেখার হোসেন নামের ৩ আসামি মৃত্যুবরণ করেন। সোমবার রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় আদালত দুটি মামলাতেই সব আসামিকে খালাস দেন।

বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ‘ভোট ডাকাতির’ নির্বাচনের আগে মাঠ ফাঁকা করার জন্য কাল্পনিক অভিযোগ দিয়ে এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল। নভেম্বর মাসে নগরীর ৭টি থানায় ৫৩টি নাশকতার গায়েবি মামলা দিয়েছিল পুলিশ। যার সবগুলোই কাল্পনিক এবং রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা।

মোহাম্মদ মিলন/এমজে