২৭ মণের ‘শান্ত’কে কিনলে ১টি ছাগল ফ্রি
২৭ মণ ওজনের গরু ‘শান্ত’। যাকে কিনলে উপহার হিসেবে দেওয়া হবে এক মণের একটি ছাগল। গরুটির দাম হাঁকানো হয়েছে ১০ লাখ টাকা। সোমবার (২৬ জুন) বিকেলে খুলনার জোড়াগেট কোরবানি পশুর হাটে দেখা মেলে কালচে, লাল ও সাদা বর্ণের গরুটির। হাটে গরুর সঙ্গে ছাগল উপহারের সংবাদে ভিড় করছে ক্রেতা-দর্শনার্থীরা।
গরুর মালিক বাগেরহাট সদরের কাপুড়পুড়া এলাকার মো. মুরাদ খান বলেন, এক বছর বয়সে গরুটি কিনে আনি। এখন গরুটির বয়স ৪ বছর। গরুটি খুবই শান্ত স্বভাবের। একে তিন বছর সন্তানের মতো লালন-পালন করেছি।
বিজ্ঞাপন
এ জন্য গরুটি নাম দিয়েছি শান্ত। বাড়ির গোয়ালেই শান্তর যত্ন নিয়েছি। শান্তর ওজন এখন প্রায় ২৭ মণ।
তিনি বলেন, শান্তর সঙ্গে একই গোয়ালে আড়াই বছর ধরে পালন করেছি লাল রঙের ছাগলটি। এখন সবমিলিয়ে ছাগলটির ওজন হবে প্রায় ৫০ কেজি। যে শান্তকে কিনবে তাকে ছাগলটি উপহার দেব। শান্তর দাম ১০ লাখ টাকা তুলেছি। তবে এখন পর্যন্ত ৭ থেকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দাম উঠেছে। ৯ লাখ টাকা দাম উঠলে শান্তকে ছেড়ে দেব।
বিজ্ঞাপন
মুরাদ বাগেরহাট থেকে রোববার সকালে গরু ও ছাগল দুটি খুলনার জোড়াগেট হাটে এনেছেন। এই হাটেই শান্তকে বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী।
হাটের গরু বিক্রেতা আসলাম শেখ বলেন, রোববার সকালে নড়াইল থেকে মাঝারি সাইজের ছয়টি গরু নিয়ে এসেছি। এখানে ৭০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের গরু রয়েছে। হাটে লোকজন আসছে, গরু দেখছে। আশা করি দ্রুত গরুগুলো বিক্রি হবে।
গরু বিক্রেতা রিপন বলেন, ডুমুরিয়ার কৈয়া বাজার এলাকা থেকে ৫টি গরু নিয়ে এসেছি। মাঝারি সাইজের একটি গরু বিক্রি হয়েছে। মাঝারি সাইজের গরু ক্রেতাদের পছন্দ। বড় গরুর কাঙ্ক্ষিত দাম উঠছে না।
খালিশপুর থেকে আসা ক্রেতা মো. নুরুজ্জামান বলেন, ৩ থেকে ৪ মণ ওজনের দেখছি। তবে দাম অনেক বেশি চায়। ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা দাম চাচ্ছে। যা অস্বাভাবিক। দামে ও সাইজে পছন্দসই গরু মিললে কিনব।
কেসিসির কন্ট্রোল রুম থেকে জানা গেছে, গত ২২ জুন থেকে শুরু হওয়া এই হাটে সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ১৭০টি গরু ও ছাগল বিক্রি হয়েছে। এ থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫৬০ টাকা।
মোহাম্মদ মিলন/আরকে