৭০ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হচ্ছে
রোববার (২৮ মার্চ) রাতে খুলনায় দুই দিনব্যাপী স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের সমাপনী দিনে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারসহ ৭০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনে হাত দেন। তিনি দেশে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে প্রেক্ষাপট ভিন্ন হয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সকল স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জাতির ইতিহাসে মুক্তিযোদ্ধা একবারই হওয়া যায়। মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান জাতি সবসময় স্মরণ করবে। আমরা আজ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছি। ২০৪১ সালে আমরা উন্নত দেশে পরিণত হবো।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, বাগেরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.কামরুজ্জামান টুকু, সরকারি বিএল কলেজের (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ শরীফ আতিকুজ্জামান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম জাহিদ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো,আলমগীর কবীর ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু।
বিজ্ঞাপন
স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. সাদিকুর রহমান খান। এসময় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, অ্যাডভোকেট এনায়েত আলী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার মাহবুবার রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে ‘রূপকল্প ২০৪১ উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো.ইসমাইল হোসেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শাহনেওয়াজ হোসেন।
‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্টানে খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে একশত ২৭ টি স্টলে সরকারি-বেসরকারি দপ্তর তাদের উন্নয়ন কর্মকান্ড ও অগ্রগতি প্রদর্শন করে। দুই দিনব্যাপী কর্মসূচির উল্লেখযোগ্য অংশ ছিলো শোভাযাত্রা, উন্নয়ন বিষয়ক ভিডিও প্রদর্শন, তরুণদের জন্য জাতির পিতার জীবনীর ওপর নির্মিত তথ্যচিত্র।
এমআইএইচ