‘অতিরিক্ত গতির কারণে অ্যাম্বুলেন্সটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। গাড়িটির একটি চাকা ফেটে গেলে সেটি উড়াল সড়কের রেলিংয়ে আছড়ে পরে আগুন লেগে যায়, ফলে গাড়িতে থাকা ৮ জনেরই মৃত্যু হয়।’

গত ২৪ জুন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়েতে ফরিদপুর ভাঙ্গার মালিগ্রাম উড়াল সড়কে অ্যাম্বুলেন্স বিস্ফোরণে ৮ জনের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে গঠিত তদন্ত কমিটি এ অভিমত জানিয়েছে। পাশাপাশি সুপারিশ হিসেবে ওই এক্সপ্রেসওয়ে জুড়ে স্পিড ক্যামেরা বসানোর প্রস্তাবনা করেছে তদন্ত কমিটি।

সোমবার (২৬ জুন) বিকেলে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার সাংবাদিকদের নিকট কমিটির প্রতিবেদন ও সুপারিশ সম্পর্কিত এ তথ্য দেন। 

জেলা প্রশাসক বলেন, অ্যাম্বুলেন্সের অতিরিক্ত গতির কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এ কারণেই গাড়িটির সামনের দিকের একটি চাকা ফেটে গিয়ে সেটি উড়াল সড়কের রেলিংয়ে গিয়ে ধাক্কা খেয়ে আগুন লেগে যায়। ফলে গাড়িতে থাকা ৮ জন নিহত হন।

জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, এ দুর্ঘটনায় অতিরিক্ত গতিকেই প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই সড়ক জুড়ে স্পিড ক্যামেরা (সিসি ক্যামেরার সঙ্গে স্পিড ডিটেক্টর) বসানোর সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়েতে ফরিদপুরের ভাঙ্গার মালিগ্রাম উড়াল সড়কে অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনা ঘটে। ওইদিন বিকেলে জেলা প্রশাসক ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) বিপুল চন্দ্র দাসকে। সদস্যরা হলেন, জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান ওরফে শাকিল, হাইওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. মারুফ হাসান, বিআরটিএর সহকারী পরিচালক মো. এমরান খান, ফরিদপুর দমকল বাহিনীর সহকারী পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান ও সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইমরান ফারহান। এই কমিটিকে দুই কর্মদিবস অর্থাৎ আজ সোমবারের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। তদন্ত কমিটি  নির্দিষ্ট সময়ে তদন্ত কাজ শেষ করে  সোমবার বিকেল ৪টায় জেলা প্রশাসকের হাতে প্রতিবেদন তুলে দেন।

জহির হোসেন/আরকে