বরিশাল বিভাগের ৮টি নদীর পানি সকাল থেকে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি রয়েছে। বুধবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি জানান, পূর্ণিমা ও উজানের পানির চাপে ৮টি নদীর পানি বেড়েছে। তবে দক্ষিণাঞ্চলে এখন পর্যন্ত বন্যার কোনো প্রভাব নেই। নদ-নদীর যে পরিমাণ পানি বৃদ্ধি পেয়েছে তা মৌসুমের স্বাভাবিক পরিস্থিতি। এই অঞ্চলের নদীর গভীরতা ও প্রস্থ বড় হওয়ায় এর পানি ধারণক্ষমতা বেশি।

এরমধ্যে বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার ধর্মগঞ্জ নদীর বিপদসীমা ২ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার মাত্রা অতিক্রম করে দশমিক ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বরগুনার বেতাগী উপজেলার বিশখালী নদীর বিপদসীমা ১ দশমিক ৬৮ সেন্টিমিটার মাত্রা অতিক্রম করে দশমিক ০৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, পাথরঘাটা উপজেলার বিশখালী নদীর বিপদসীমা ১ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার মাত্রা অতিক্রম করে বিপৎসীমার দশমিক ২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

ভোলার দৌলতখান উপজেলার সুরমা ও মেঘনা নদীর বিপৎসীমা ২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার মাত্রা অতিক্রম করে দশমিক ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, তজুমদ্দিন উপজেলার সুরমা ও মেঘনা নদীর বিপৎসীমা ২ দশমিক ২২ সেন্টিমিটার মাত্রা অতিক্রম করে দশমিক ৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ভোলা খেয়াঘাট সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীর বিপৎসীমা ১ দশমিক ৯১ সেন্টিমিটার মাত্রা অতিক্রম করে দশমিক ০৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

উমেদপুর কচা নদীর বিপৎসীমা ১ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার মাত্রা অতিক্রম করে দশমিক ০৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও পিরোজপুর জেলার বলেশ্বর নদীর বিপৎসীমা ১ দশমিক ৪৯ সেন্টিমিটার মাত্রা অতিক্রম করে দশমিক ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

এছাড়া বরিশালের কীর্তনখোলা, বাকেরগঞ্জের বুড়িশ্বর, উজিরপুর স্বরূপকাঠি, গৌরনদী টরকি, বাবুগঞ্জ,  ঝালকাঠির বিশখালী, কাইটপাড়া লোহালিয়া, মির্জাগঞ্জের পায়রা, পিরোজপুর স্বরূপকাঠি, বরগুনার বিশখালী ও আমতলীর বুড়িশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি ও নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বর্ষা মৌসুমে বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ মোট ১৯টি নদীর পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। বুধবারের রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় ৮টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে বিভাগের নিম্নাঞ্চলের অনেক এলাকা তলিয়ে গেলেও তা ভাটায় আবার নেমে যাবে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমএএস