চাঁপাইনবাবগঞ্জে জমি কেনা নিয়ে বিরোধের জেরে সাড়ে তিন বিঘা জমির ধানের চারা উপড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার (৫ জুলাই) সকালে উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের ছোট মরাপাগলা মাঠে এ ঘটনা ঘটে। 

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মো. আমিনুল ইসলাম (৪০) সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের বাগচর গ্রামের রহমানের ছেলে। তিনি এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। এতে খরচ বাবদ ৭০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন তিনি।

কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, এলাকার একটি আবাদি জমি কেনার জন্য ১ লাখ টাকা বায়না দেই। সাড়ে তিন বিঘা জমির জন্য ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা দামে বায়না নেওয়ার তিন মাসের মধ্যে রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার অঙ্গীকার করে টিকরামপুর এলাকার মো. জাফরের তিন সন্তান। কিন্তু আমার সঙ্গে প্রতারণা করে তারা ছোট মরাপাগলা গ্রামের মো. কালামের কাছে মূল দলিল হস্তান্তর করেন। 

তিনি আরও বলেন, আমার বায়নামা করা জমি ভোগ দখলে থাকা সত্ত্বেও তারা সেই জমি কালামের কাছে বিক্রি করে দেন। পরে এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশে আমাকে মোট ৯ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সে সময় এক লাখ টাকা দিয়ে বাকি ৮ লাখ টাকা তিন মাস পর দেওয়ার কথা হয়। বিনিময়ে আমাকে সেই জমিতে ধান চাষাবাদ করার অনুমতি দেন। পরে আমি ধানের চারা রোপণ করলে কালাম তার লোকজন নিয়ে ক্ষেতের ধানের চারা উপড়ে ফেলেন।

প্রতিবেশী কৃষক রহমত আলী জানান, হঠাৎ করেই কিছু লোক এসে আমিনুলের ক্ষেতের ধানের চারা উপড়ে ফেলা শুরু করে। তাদেরকে আমি নিষেধ করলেও তারা শোনেনি। উল্টো আমাকে এ বিষয়ে কথা বলতে  নিষেধ করে। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অভিযুক্ত আবুল কালামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। 

মো. জাহাঙ্গীর আলম/এএএ