চরে তরমুজ চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষকরা

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় আত্রাই নদীর তীরসহ ছোট-বড় কয়েকটি চরে তরমুজ চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষকরা। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় এবার অনেকেই চরে তরমুজ চাষ করেছেন। এক সময় নদীতে জেগে ওঠা চরগুলো অনাবাদি পড়ে থাকতো। এখন ওইসব অনাবাদি জমিতেই তরমুজ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। 

সরেজমিনে দেখা যায়- পত্নীতলা উপজেলার নিরমইল ইউনিয়ন, মাটিন্দর ইউনিয়ন, কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন, পাটিচরা ইউনিয়ন, নজিপুর ইউনিয়ন, ঘোষনগর ইউনিয়ন, আমাইড় ইউনিয়ন ও শিহাড়া ইউনিয়নের কৃষকরা তরমুজ চাষ করেছেন। এছাড়াও আত্রাই নদীর তীরসহ ছোট-বড় কয়েকটি চরে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। 

এ বছর তরমুজের দ্বিগুণ ফলন হয়েছে

পত্নীতলায় তরমুজ চাষিদের বেশিরভাগ পাশের গ্রাম থেকে এসেছেন। স্বল্প সময়ের জন্য চরাঞ্চলে আসা এই কৃষকরা ক্ষেতেই তাবু টানিয়ে অস্থায়ী বসতি গড়েছেন। ক্ষেত থেকে তরমুজ তোলা শেষ হলে তারা আবার নিজ এলাকায় ফিরে যাবেন। 

পত্নীতলা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ছোট চাঁদপুর, বড় চাঁদপুর, পূর্ব পাটিচারা, বড় পাটিচারা নদীর দুই পাশে ৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। গ্লোরি, জাম্বু, ওরিয়ন, বাংলালিংক জাতীয় বিদেশি তরমুজ চাষ করেছেন কৃষকরা। এ বছর তরমুজের ভালো ফলন হওয়ায় খুশি কৃষকরা। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় ন্যায্যমূল্যে তরমুজ বিক্রি করছেন পারছেন তারা। 

তরমুজ চাষি স্বপন হাওলদার, গোপাল, ধিরেন ও প্রান্ত ঢাকা পোস্টকে জানান, চলতি বছর পত্নীতলা কৃষি অফিসের প্রযুক্তিগত সহায়তায় তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। প্রতি একর জমিতে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ করে আনুমানিক চার হাজার তরমুজ উৎপাদিত হয়। যার আনুমানিক বিক্রয় মূল্য ৩-৪ লাখ টাকা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর তরমুজের দ্বিগুণ ফলন হয়েছে।

অনাবাদি চরে তরমুজ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা

তরমুজ চাষি নকুল ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি এ বছর ১০ কাঠা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সঠিক পরামর্শ পাওয়ায় তরমুজে তেমন কোনো রোগ বালাই হয়নি। ফলন ভালো হওয়ায় খরচ বাদেও আমার প্রচুর টাকা লাভ হবে।

পত্নীতলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রকাশ চন্দ্র সরকার ঢাকা পোস্টকে জানান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক নজরদারি ও পরামর্শে উপজেলার বেশ কয়েকটি চরে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। খরচ বাদ দিয়েও কৃষকদের দ্বিগুণ লাভ হবে। 

তিনি বলেন, আমাদের জনবল সংকট রয়েছে। তারপরও কৃষকদের সর্বাত্মক সহায়তা করার চেষ্টা করছি। 

শামীনূর রহমান/আরএআর