পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ড. সমর কুমার ব্যানার্জি বলেছেন, শরীয়তপুর-চাঁদপুর করিডোরে মেঘনা নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ হবে। আমরা সেই বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করছি এবং সরেজমিন পরিদর্শন করছি। নদীর পানি যাতে দূষিত না হয় সেই বিষয়টি আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। আর এ কাজটি করার জন্য আমরা দু’জেলার অংশের লোকদের সঙ্গে মতবিনিময় করছি। এ সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ৮.০৪ কি.মি। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে ‘শরীয়তপুর-চাঁদপুর ও গজারিয়া-মুন্সিগঞ্জ সড়কে মেঘনা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা এবং বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের জন্য মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন প্রকল্প’ এর আওতায় সেতু প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব নিরুপণের জন্য মতবিনিময় সভাশেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, শরীয়তপুর ও চাঁদপুরে পরিবেশগত প্রভাব নিরুপণের জন্য সভায় অনেক প্রশ্ন উঠে এসেছে। এর মধ্যে ইলিশ মাছকে বাঁচানোর জন্য অনেকেই বিভিন্ন মতামত দিয়েছেন। আমরাও আমাদের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছি। সকলের মতামতগুলো গুরুত্ব দিয়ে একটি গাইড লাইন তৈরি করা হবে। কীভাবে আমরা একটি পরিবেশবান্ধব ও টেকসই সেতু নির্মাণ করতে পারি সেই বিষয়টিই সভায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ব্রিজ অথরিটি (বিবিএ) সহকারী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম, এনভেরোম্যান্টাল এক্সপার্ট ড. সমর কুমার ব্যানার্জি, এনভেরনমেন্টালিস্ট ডা. তাজুল ইসলাম, বিবিএ প্ল্যান প্রজেক্টের সোশ্যালজিস্ট আইরিন নাহার, সেসিয়ো ইকোলোজিস্ট বশির আহমেদ, ডিডিসি এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. মাহবুবুর রহমান, সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সেলিম খান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস ছাত্তার রাঢ়ী, ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী আবুল কাশেম খান প্রমুখ।

আনোয়ারুল হক/এমএএস