চাঁদপুরে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী
সারাদেশের মতো চাঁদপুরেও বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর হাসপাতালে ১৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
এ নিয়ে গত ২ জুলাই থেকে আজ (১৩ জুলাই) পর্যন্ত ১৪২ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে ৮৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ৫৭ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
চাঁদপুর সিভিল সার্জন ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, সারাদেশে আশঙ্কাজনক হারে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। চাঁদপুরও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে চাঁদপুরে এ পর্যন্ত যতজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, তাদের মধ্যে বেশির রোগীই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। প্রতিদিনই এর সংখ্যা বাড়ছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ২৫ জন, ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪ জন, শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪ জন, কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭ জন, হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জন, মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭ জন, মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জন এবং হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ জন ভর্তি রয়েছেন ।
তিনি আরও বলেন, আমরা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছি। এ নির্দেশনা মোতাবেক চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসায় খরচ নেওয়া হয় না। হাসপাতাল থেকে বিনা পয়সায় ডেঙ্গু রোগের ঔষধ দেওয়া হয়।
ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ সম্পর্কে তিনি বলেন, দিন ও রাতের বেলায় শোয়ার সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে। বাড়ির আশপাশ যতটা সম্ভব পরিষ্কার রাখতে চেষ্টা করুন। ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব কিংবা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। আমাদের সচেতন হতে হবে।
চাঁদপুর সদর জেনারেল হাসপাতালের ওয়ার্ডে গিয়ে কথা হয় ডেঙ্গু জ্বরের আক্রান্ত ইমাম হোসেনের (৬০) সাথে। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, চাঁদপুর শহরের তালতলা এলাকায় একটি বাসায় দারোয়ানের চাকরি করি। ডিউটিরত অবস্থায় সে জ্বরে আক্রান্ত হই। পরে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হই। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে ডেঙ্গু হয়েছে বলে জানতে পারি এবং এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছি।
ডেঙ্গু আক্রান্ত আরেক রোগী সুফিয়ান বলেন, আমি ঢাকায় কাজ করতাম। সেখানেই আমি ডেঙ্গু আক্রান্ত হই। এখন এলাকায় এসে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছি।
চাঁদপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এ.কে এম মাহবুবুর রহমান বলেন, চাঁদপুরে ডেঙ্গু জ্বরের রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির পেয়েছে। জ্বর হলেই রক্ত পরীক্ষা করতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কেউ ঔষধ খাবেন না।
আনোয়ারুল হক/এমএ