রাজবাড়ীতে ছড়িয়ে পড়ছে লাম্পি স্কিন ডিজিস রোগ। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলায় অনেক গরু মারা গেছে। ল্যাম্পি স্কিন ডিজিস রোগ ছড়িয়ে পড়াতে আতঙ্কে আছেন প্রান্তিক খামারিরা।

রাজবাড়ীর বিভিন্ন এলাকায় বর্তমানে ল্যাম্পি স্কিন ডিজিস রোগে আক্রান্ত হচ্ছে গরু। এই রোগে হঠাৎ করেই গরুর গায়ে গোটা গোটা উঠতে শুরু করে। খামারিরা বলছেন এই রোগে আক্রান্ত হলে গরু কিছু খেতে চায় না। কয়েকদিন পর গোটা ফেটে ঘা বের হয়। গরু হাটতেও পারে না। রোগের চিকিৎসাও ব্যয়বহুল। তবে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মারা যায় বাছুর গরু।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের প্রান্তিক খামারি আক্কাস বেপারী। তার খামারের ৪টি গাভি ঈদের আগে ল্যাম্পি স্কিন ডিজিস রোগে আক্রান্ত হয়। এখনো দুটি গাভির শরীর থেকে ক্ষত শুকায়নি। আক্রান্ত গরুগুলো খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাঁটে। গাভি আক্রান্ত হওয়ার পর বন্ধ হয়ে যায় দুধ উৎপাদন। ফলে ল্যাম্পি স্কিন ডিজিস রোগে আক্কাস বেপারীর খামারের বড় ক্ষতি হয়েছে।

খামারি আক্কাস ব্যাপারী বলেন, আমার খামারের চারটি গাভি ল্যাম্পি স্কিন ডিজিসে আক্রান্ত হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে দুইটি গাভি সুস্থ হলেও বাকি দুইটি এখনো সুস্থ হয়নি। এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই আমার গাভির দুধ উৎপাদন কমে গেছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. খায়ের উদ্দিন বলেন, বর্ষা মৌসুমে মশা, মাছি ও নোংরা পরিবেশ থেকে গরু ল্যাম্পি ডিজিস রোগে আক্রান্ত হয়।এজন্য গরুর ঘর সব সময় পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। গোয়াল ঘরে মশারি ব্যবহার করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, দেশের অনেক জেলার মতো রাজবাড়ীতেও সম্প্রতি লাম্পি স্কিন ডিজিস দেখা দিয়েছে। মূলত রোগটি মশা ও মাছি আক্রান্ত পশুর ব্যবহৃত নিডল ও সিরিঞ্জের মাধ্যমে গরু থেকে গরুতে ছড়িয়ে পড়ে। তাই আক্রান্ত গরুটিকে অবশ্যই কোয়ারেন্টাইন করে চিকিৎসা নিতে হবে। রোগটি সাধারণত বর্ষাকালেই বেশি হয়। শীত এলে এর প্রকোপ কমে যাবে। আক্রান্ত গরুর চিকিৎসা শুরুর ২৫ দিনের মধ্যে রোগটি সেরে যায়। সচেতনতার মাধ্যমেই এ রোগটিকে এড়ানো সম্ভব।

মীর সামসুজ্জামান/এএএ