মেয়র আবদুল কাদের মির্জা

নোয়াখালীর বসুরহাটে যুবলীগ কর্মী আলাউদ্দিন হত্যার ঘটনায় কাদের মির্জার বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৩১ মার্চ) দুপুরে ৪ নম্বর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এসএম মোসলেহ উদ্দিন মিজান এ নির্দেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হারুন অর রশিদ হাওলাদার। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, নোয়াখালীর বসুরহাটে যুবলীগ কর্মী আলাউদ্দিন হত্যার ঘটনায় কাদের মির্জার বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে, গত ৯ মার্চ বসুরহাটে আবদুল কাদের মির্জা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমানের (বাদল) অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে আলাউদ্দিন (৩২) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। তিনি মিজানুর রহমানের অনুসারী। এ ঘটনায় আলাউদ্দিনের ছোট ভাই এমদাদ হোসেন ওরফে রাজু আবদুল কাদের মির্জাসহ ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ নিয়ে একাধিকবার থানায় গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি।

পরবর্তীতে ১৪ মার্চ এমদাদ হোসেন বাদী হয়ে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৪ নম্বর আমলি আদালতে একই আসামিদের বিরুদ্ধে একটি নালিশি মামলা করেন। আদালত শুনানি শেষে বাদীর আরজিতে উল্লেখ করা ঘটনার বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় ইতোপূর্বে কোনো মামলা হয়েছে কিনা, তা জানতে চেয়ে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে ওসিকে নির্দেশ দেন। সে আলোকে সোমবার (২৯ মার্চ) থানা থেকে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়।

এদিকে বুধবার (৩১ মার্চ) দুপুর পৌনে ১২টায় ঘণ্টাব্যাপী ফেসবুক লাইভে এসে আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন বসুরহাট পৌরসভার আলোচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।

এ সময় তিনি বলেন, ‘অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে কথা বলে এখন আমি সবার কাছে খারাপ হয়ে গেছি। যে দলে সম্মান নেই সেখানে আমি থাকব না। আমি বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সদস্য হয়েছি। সেখানে থেকেই কাজ করব।’

বিদায় বেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনি একসঙ্গে না পারলেও আস্তে আস্তে দলের দুর্নীতিবাজদের লাগাম টেনে ধরুন। যারা বেশি অনিয়মকারী তাদের দল থেকে বের করে দিন।’

উল্লেখ্য, মেয়র আবদুল কাদের মির্জা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।

হাসিব আল আমিন/এসপি