আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে পেটালেন ইউপি চেয়ারম্যান
মান্দারী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি বেলাল
লক্ষ্মীপুরের মান্দারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন রুবেল পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতা বেলাল হোসেনকে (৩৯) মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিকেলে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে বেলাল ঘটনাটি সাংবাদিকদের জানান।
জানা গেছে, পাওনা ১৫ হাজার টাকা চাওয়ায় চেয়ারম্যান রুবেল ও তার ভাই গিয়াস উদ্দিন তাদের মারধর করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় মান্দারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মাহবুবুর রহমান রাজুকেও মারধর করেন চেয়ারম্যান।
বিজ্ঞাপন
বেলাল সদর উপজেলা মান্দারী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও মোহাম্মদনগর গ্রামরে আজিজ উল্যার ছেলে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পারিবারিক জমি নিয়ে বেলাল ও তার স্বজনদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ ঘটনায় সালিশি বৈঠকের জন্য বেলালসহ তার ৬ স্বজন ৩৫ হাজার টাকা (১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) করে চেয়ারম্যান রুবেলের কাছে জামানত রাখে। কিন্তু সমস্যার সমাধান না করে কয়েকদিন আগে বেলালদের বিপক্ষের লোকজনকে জমি বুঝিয়ে দেন চেয়ারম্যান।
বিজ্ঞাপন
যুবলীগ নেতা বেলাল হোসেন বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের একটি সালিশি বৈঠকের জন্য জামানত হিসেব চেয়ারম্যান রুবেল আমার কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকা নেয়। পরে ২০ হাজার টাকা ফেরত দিলেও বাকি টাকা দিচ্ছে না। এতে পাওনা ১৫ হাজার টাকা চাইতে বুধবার রাত ৮টার দিকে মান্দারী বাজারে চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে যায়। টাকা চাইতেই চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। একপর্যায়ে রুবেল ও তার ভাই গিয়াস আমাকে বেদম মারধর করে। ঘটনাটি আমি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককেও জানিয়েছি। আমি চেয়ারম্যান ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করবো।
বেলাল আরও জানান, ইউপি সদস্য রাজুর সামনেই তাকে মারধর করা হয়। এতে বাধা দিলে রাজুকেও চেয়ারম্যান রুবেল কিল-ঘুষি দেন।
ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুর রহমান রাজু সাংবাদিকদের বলেন, বেলালকে চেয়ারম্যান মারধর করেছে। এতে প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যান আমাকে কিল-ঘুষি দিয়েছে। বিষয়টি আমি জেলা নেতৃবৃন্দকে জানিয়েছি। এ ঘটনায় আমি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করবো।
বক্তব্য জানতে মান্দারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন রুবেল পাটওয়ারীকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, ঘটনাটি আমাকে ভুক্তভোগী নেতারা জানিয়েছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষকে আমার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে। উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।
চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি আমরা জানা নেই। কেউ আমাকে জানায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাসান মাহমুদ শাকিল/এএএ