জাত উন্নয়নে সাফল্য, খাসির বিকল্প হবে ভেড়া
গবেষণা প্রকল্পের আওতায় উন্নতজাতের ২০টি ভেড়ার বাচ্চা জন্ম নিয়েছে
দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে ভেড়ার জাত উন্নয়নের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এ গবেষণা করছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রো টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষক ড. সরদার শফিকুল ইসলাম। গবেষণায় সফলতাও পেয়েছেন তিনি। গবেষণা প্রকল্পের আওতায় উন্নতজাতের ২০টি ভেড়ার বাচ্চা জন্ম নিয়েছে। এগুলো আরও ৩-৪ মাসের মধ্যে বাজারজাত করার উপযোগী হবে। এই গবেষণার লক্ষ্য হচ্ছে দেশে ভেড়ার মাংস জনপ্রিয় করা।
বিজ্ঞাপন
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, মূলত: গাড়োল জাতের পুরুষ ভেড়ার সঙ্গে স্থানীয় স্ত্রী ভেড়ার ক্রস ব্রিডিংয়ের মাধ্যমে দেশি ভেড়ার উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রো টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের মাঠে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। গবেষণা কার্যক্রম শেষ হলে উন্নত শঙ্কর জাতের ভেড়া পাওয়া যাবে। এছাড়া স্থানীয় ও শঙ্কর জাতের ভেড়ার জন্য খাদ্য ব্যবস্থাপনার একটি দিকনির্দেশনাও পাওয়া যাবে।
বিষয়টি মাথায় রেখে গ্র্যান্ট অব অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন এডুকেশন (জিএআরই), বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) অর্থায়নে ‘যথাযথ প্রজনন ও খাদ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলের ভেড়ার উন্নয়ন’ শীর্ষক তিন বছর মেয়াদি একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে প্রকল্পটি শুরু হয়।
বিজ্ঞাপন
গবেষক ড. সরদার শফিকুল ইসলাম বলেন, দেশে খাসির মাংস প্রতিকেজি ৮০০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা। সেক্ষেত্রে উন্নতজাতের ভেড়ার চাষ বা পালন সম্প্রসারণ করতে পারলে একদিকে মাংসের চাহিদা পূরণ হবে। অন্যদিকে ভোক্তারা খাসির মাংসের বিকল্প ভেড়ার মাংস কিনতে পারবেন। এছাড়া উপকূলীয় এক ফসলি এলাকায় বা অন্যত্র চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। শিক্ষিত তরুণরা ভেড়া চাষের উদ্যোক্তা হতে পারেন, খামার গড়ে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেন।
মোহাম্মদ মিলন/এএম