নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদেরকে কামড় দিয়ে হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া মাদক কারবারি সাইদুল ইসলামকে (৪০) এখনো আটক করতে পারেনি পুলিশ।

তবে শনিবার (২২ জুলাই) রাত ২টার দিকে উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে সাইদুলের বাড়ির পাশ থেকে হাতকড়াটি উদ্ধার করে পুলিশ।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অভিযানে আটক মাদক কারবারি সাইদুল ইসলাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের হাতে কামড় দিয়ে হাতকড়াসহ পালিয়ে যান। এতে নীলফামারীর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী উপপরিদর্শকসহ দুজন সিপাই আহত হন।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই কিশোরগঞ্জ থানায় নীলফামারী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাইদুলসহ আটজনের নাম উল্লেখ ও আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

নীলফামারী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আসামিকে তার লোকজন ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। সরকারি কাজে বাধা ও হামলার অভিযোগ এনে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নীলফামারী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, হাতকড়া উদ্ধার হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে যেহেতু মামলা হয়েছে আলামত হিসেবে জব্দ করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন : নীলফামারীতে অভিযানের সময় হামলা করে হাতকড়াসহ পালালেন মাদক কারবারি

কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব কুমার রায় ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনার পর থেকে আমরা সাইদুলকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালাচ্ছি। শনিবার গভীর রাতে তার বাড়ির পাশ থেকে হাতকড়াটি উদ্ধার করা হয়। আমরা তাকে গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, মাদক কারবারি সাইদুল ইসলাম হত্যা মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলার আসামি। তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। হামলা ও হাতকড়াসহ পালানোর ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আরও একটি মামলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নীলফামারী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি টিম কিশোরগঞ্জের নিতাই ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মাদক কারবারি সাইদুল ইসলামকে আটক করে হাতে হাতকড়া পরায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়ায় সাইদুলের দলবল এসে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানকারী দলের ওপর হামলা করে। খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জ থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় একই গ্রামের মৃত ইউনুছ পণ্ডিতের ছেলে আলিফ নুর নামে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।

শরিফুল ইসলাম/এমজেইউ