যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ইমরান হোসেন

যশোরে এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তিন পরিবারকে অত্যাচার করে বাড়িছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত আবুল কাশেম চৌগাছা উপজেলায় চৌগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

মিথ্যা মামলা ও পুলিশ দিয়ে হয়রানিসহ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী তিনটি পরিবার। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী ইমরান হোসেন। এ সময় তিনি বলেন, আবুল কাশেম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকায় ঘের, বাওড়, বিল দখলসহ নানা অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছেন। বেড়গোবিন্দপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নামে ইজারা ছিল গোবিন্দপুর বাওড়টি। লিজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভুয়া মৎস্যজীবী সমিতি গঠন করে ওই বাওড় ইজারা নেন। এছাড়া পার্শ্ববর্তী লস্করপুর বিলের ইজারা নিতেও তিনি ভুয়া কমিটি গঠন করে টেন্ডার দাখিল করেন। এতে করে স্থানীয় মৎস্যজীবীরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হন। এজন্য ইমরানসহ মৎস্যজীবীরা জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন। এতে ক্ষিপ্ত হন চেয়ারম্যান। 

এরপর থেকে তিনি মিথ্যা অভিযোগে মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছেন তিনি। এমনকি হত্যার জন্যে হামলাও করেছেন। ক্ষতি করার জন্য নিজ পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ হত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় ইমরান ছাড়াও শামীম রেজা ও ভুট্টো মিয়া নামে আরও দুইজনকে আসামি করা হয়েছে। যারা তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। এদিকে গত চারদিন ধরে শামীম রেজাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ভুট্টোকে পুলিশের মাধ্যমে তুলে নিয়ে ভয় ভীতি দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ইমরান হোসেন। এ অবস্থায় তিনটি পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়েছে। 

সংবাদ সম্মেলনে ইমরান হোসেন আরও জানান, আবুল কাশেমের অত্যাচার নির্যাতন থেকে বাঁচতে তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। সংবাদ সম্মেলনে শামীম রেজার স্ত্রী হালিমা খাতুন, ভুট্টু মিয়া ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে গত ১৯ জুলাই চেয়ারম্যান আবুল কাশেম তার দলীয় লোকজন নিয়ে এসে শামীম রেজাসহ আরও ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে মাছ চুরিসহ নানা অভিযোগ এনে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। এসব ব্যাপারে চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জানান, সংবাদ সম্মেলনে ইমরান হোসেনের করা অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায়, মামলা থেকে বাঁচতে নানা পদ্ধতি অবলম্বন করছে। 

এ্যান্টনি দাস অপু/এএএ