কিশোরগঞ্জে স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন স্বামী। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে পৌর শহরের জামিয়া ইমদাদিয়া মাদরাসা সংলগ্ন আহমদ গলির ভাড়াটিয়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। 

এর আগে গুরুতর আহত অঞ্জলি ঘোষকে (৩৬) উদ্ধার করে প্রথমে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে।

মৃত স্বামী লিটন ঘোষ (৪১) পুরানথানা এলাকার ইসলামী সুপার মার্কেটের সামনে পানের ব্যবসা করতেন। তিনি জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার কাদির জঙ্গল এলাকার গোপাল ঘোষের ছেলে। তিনি স্ত্রী অঞ্জলি ঘোষ, দুই মেয়ে ছড়া ঘোষ (১০) ও ছোঁয়া ঘোষকে (১৪) নিয়ে আহমদ গলির বাচ্চু টাওয়ারের পাশের বাসায় ভাড়া থাকতেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রী ও সন্তানসহ ওই এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন লিটন ঘোষ। লিটন ঘোষ ইসলামী সুপার মার্কেটের সামনে একটি পানের দোকানদার। প্রায়ই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো তার সংসারে। মঙ্গলবার উত্তেজিত হয়ে স্ত্রী অঞ্জলি ঘোষকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন লিটন ঘোষ। পরে লিটন ঘোষের বোন খবর পেয়ে অঞ্জলিকে উদ্ধার করে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। স্ত্রী অঞ্জলিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর খালি বাসায় স্বামী লিটন গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।

নিহত লিটনের বোন জামাই জুটন জানান, সোমবার রাতে সম্ভবত খাবারের সঙ্গে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে ঘুমের ট্যাবলেট খাওয়ান লিটন। এতেই তারা শারীরিকভাবে দূর্বল হয়ে পড়ে। এ সুযোগে তিনি ঘুমন্ত স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় দুই মেয়েও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে জানান তিনি। 

স্থানীয় এলাকাবাসী নূর চাঁন জানান, স্বামীর-স্ত্রী মধ্যে ঝগড়াকে কেন্দ্র করে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে আমরা শুনতে পেরেছি।

কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ বলেন, স্বামীর হাতে স্ত্রীকে কুপিয়ে আহত হওয়ার ব্যাপারে তার জানা নেই। তবে পারবারিক কলহের জেরে লিটন ঘোষ আত্মহত্যা করতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

আরকে