মালয়েশিয়ায় অপহৃত নীলফামারীর সেই যুবক উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় অপহৃত নীলফামারীর জলঢাকার যুবক খাইরুল ইসলামকে উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে ঢাকা পোস্টকে পাঠানো একটি মেইলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মালয়েশিয়ান কোম্পানি এফজিভি হোল্ডিংস কর্তৃপক্ষ।
এর আগে বুধবার (২৬ জুলাই) তাকে উদ্ধার করা হয়। খাইরুল ইসলাম জলঢাকা উপজেলার দক্ষিণ দেশীবাড়ি রাজারহাট এলাকার মো. আব্দুল হামিদের ছেলে। চার ভাই-বোনের মধ্যে খাইরুল সবার বড়। তার সাত বছরের এক ছেলে রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
গত ২২ জুলাই বিশেষ ছুটি নিয়ে দেশে ফেরার কথা পরিবারকে জানানোর পর থেকে নিখোঁজ হন খাইরুল। পরের দিন ভোর ৪টায় পরিবারকে মুঠোফোনে কল দিয়ে অপহরণের বিষয়টি জানান খাইরুল নিজেই।
খাইরুল পরিবারকে জানান, তার ছয়জন সহকর্মী তাকে একটি জঙ্গলে আটকে রেখে ২০ লাখ টাকা দাবি করছেন। টাকা না দিলে তাকে হত্যা করে জঙ্গলেই ফেলে রাখা হবে। এরপর পরিবারের অভিযোগটি ঢাকা পোস্টের নীলফামারী প্রতিনিধি মেইলের মাধ্যমে এফজিভি হোল্ডিংস কোম্পানিকে অবগত করেন। জানানোর পর এফজিভি কোম্পানির অনুরোধে ২৪ জুলাই বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় উদ্ধার অভিযান শুরু করে মালয়েশিয়ান পুলিশ। টানা দুই দিন উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে ২৬ জুলাই খাইরুলকে উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
বিষয়টি নিশ্চিত করে মালয়েশিয়ান ওই কোম্পানির প্রতিনিধি মো. রিদয় ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমানে বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
আরও পড়ুন : ‘ভাই আমাকে দ্রুত উদ্ধার করে নিয়ে যান’
এদিকে খাইরুলের নিখোঁজের খবরে কান্নায় ভেঙে পড়েছিল পরিবারের সদস্যরা। তার উদ্ধারের খবরে পরিবারে স্বস্তি ফিরেছে। এখন খাইরুলকে ভালোভাবে দেশে পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
খাইরুলের ছোট বোন হালিমা খাতুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘কয়েক দিন থেকে আমাদের রাত-দিন কিছু ছিল না। আমার ভাই উদ্ধার হয়েছে এই খবরে শান্তি পাইছি। ভালোভাবে আমার ভাইকে দেশে পাঠানো হোক।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পাওয়ার পর থেকে খাইরুলের পরিবারে স্বস্তি ফিরেছে। এখন ভালোভাবে দেশে পৌঁছালেই হলো।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সাল থেকে মালয়েশিয়ার এফজিভি হোল্ডিংস (FGV Holdings Berhad) কোম্পানিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন খাইরুল। গত ২২ জুলাই বাড়িতে জানান মায়ের অসুস্থতার জন্য ছুটি নিয়ে তিনি দেশে আসবেন। এর জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন খাইরুল। তবে সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে মালয়েশিয়ায় কর্মরত তার সহকর্মীর মোবাইল থেকে জানানো হয় খাইরুল নিখোঁজ। খবর পাওয়ার পর মালয়েশিয়ায় পরিচিতদের সঙ্গে যোগাযোগ করে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা চালান খাইরুলের পরিবার।
শরিফুল ইসলাম/এমজেইউ