কাইয়ুম, বাপ্পী ও হাসিবুর

কিশোরগঞ্জ শহরের পুরান থানা ও একরামপুর এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। বুধবার (৩১ মার্চ) রাতে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পল্লব সরকার বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় ৫৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও এক হাজার ৮০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এ মামালায় জেলা বিএনপির ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম, পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব দিদার হাসান বাপ্পী, ছাত্রদল নেতা হাসিবুর রহমান ও আলম নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে এবং পুলিশের ওপর হামলা ও কাজে বাধাদানের অভিযোগে মামলাটি হয়েছে।

এর আগে, মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের পুরান থানা ও একরামপুর এলাকায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক আহত হন।

মামলায় অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ মিয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি রেদোয়ান আহমেদ ওয়াকিউর, সহ-সভাপতি সায়েদ সুমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়ালীউল্লাহ রাব্বানী তৌকি, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম নিশাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক, সরকারি গুরুদয়াল কলেজ শাখা আহ্বায়ক তকবীর রকিব, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উবায়দুর রহমান শাকিল, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক তারিকুজ্জামান পার্নেল, সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবীর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন ও পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন।

বিএনপির পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি ছাড়াও হেফাজতে ইসলামের হরতালের দিন কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। রাতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জেলা ও উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে এবং কার্যালয়ে থাকা আসবাবপত্র বাইরে নিয়ে অগ্নিসংযোগ করেন। 

এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে একরামপুর এলাকা দিয়ে শহরে প্রবেশের সময় পুলিশ বাধা দেয়। এক পর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। সেই সঙ্গে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। আড়াই ঘণ্টাব্যাপী দফায় দফায় চলে এ সংঘর্ষ। 

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫০০টি রাবার বুলেট ও ৬০টি টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষের ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য, এক সাংবাদিকসহ বিএনপির ৫০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম নিশাদ জানান, পুলিশের গুলি ও লাঠিচার্জে বিএনপি ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের ৫০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন- জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ মিয়া ও সহ-সভাপতি সাঈদ সুমন, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক, শরিফুল ইসলাম নিশাদ, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি ফয়সাল হোসেন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম রুবেল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, উবাইদুর রহমান শাকিল, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন এবং যুগ্ম আহ্বায়ক এমদাদ হোসেন।

এসকে রাসেল/এসপি