লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরে শ্রমিকদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন।

জানা গেছে, আগামী ২ আগস্ট রংপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষ্যে বুড়িমারী স্থলবন্দর শ্রমিক লীগ রোববার (৩০ জুলাই) দুপুরে শোভাযাত্রার আয়োজন করে। শোভাযাত্রায় স্থলবন্দরের সর্দারদের একটি গ্রুপ বাধা দেওয়ায় সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এ সময় পাটগ্রাম থানা পুলিশ দুই গ্রুপের লোকজনদের সরিয়ে দেন।

শ্রমিকরা জানান, আজ দুপুরে তারা ব্যানারসহ শোভাযাত্রা নিয়ে স্থলবন্দর মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করার সময় সর্দারদের কয়েকজন শোভাযাত্রার ব্যাপারে উসকানি ও বিরূপ মন্তব্য করেন। শোভাযাত্রাটি শ্রমিক সিরিয়াল কার্যালয়ে গিয়ে ব্যানার টানাতে গেলে সেখানে থাকা তিনজন সর্দার বাধা দেন। এতে সাধারণ শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। পরে পুলিশের সহায়তায় ব্যানার টানিয়ে বুড়িমারী স্থলবন্দর শ্রমিক লীগের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল হোসেন শ্রমিকদেরকে কাজে যেতে বলেন।

এ সময় সর্দারদের লোকজন ও স্বজনেরা সাধারণ শ্রমিকদের ওপর চড়াও হলে সংঘর্ষ বাধে। এতে শুরু থেকে থাকা পুলিশের একটি দল কঠোর অবস্থান নিয়ে দুই পক্ষের লোকজনদেরকে সরিয়ে দেন। পুলিশ না থাকলে বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটত বলে সাধারণ শ্রমিকরা জানান।

এ ব্যাপারে শ্রমিক লীগের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনে আমাদের সাধারণ শ্রমিকরা স্বাগত মিছিল ও শোভাযাত্রা করে শ্রমিক কার্যালয়ে ব্যানার লাগাতে গেলে সর্দাররা বাধা দেন। এতে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং সংঘর্ষ বাধে। সর্দারদের কারণে এ ঘটনা ঘটে।

তবে বুড়িমারী স্থলবন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সর্দার আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা কোনো বাধা বা উসকানি দিইনি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। তারা আমাদেরকে অসম্মান করায় দুই পক্ষের শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, পুলিশ শুরু থেকে অবস্থান নেওয়ায় সংঘর্ষ মারাত্মক আকার ধারণ করেনি।

নিয়াজ আহমেদ সিপন/এমজেইউ