জয়পুরহাটে ১৮ বছর পর মিল শ্রমিক মুনছুর রহমান হত্যা মামলার রায় হয়েছে। এতে সোহেল প্রধান নামে একজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রোববার (৩০ জুলাই) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত সোহেল প্রধান পাঁচবিবি উপজেলার গণেশপুর গ্রামের জমির উদ্দীন প্রধানের ছেলে। বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) উদয় সিংহ।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালের ২৩ এপ্রিল বিকেলে পাঁচবিবি উপজেলার গণেশপুর গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে মুনছুরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান একই গ্রামের সোহেল। সেদিন দুজন রিকশায় বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ান এবং সন্ধ্যার পর কেরাম বোর্ডও খেলেন। পরে রাত ৯টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জেরে মুনছুরের বুকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় সোহেল। পরে স্থানীয়রা মুনছুরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা হেলাল উদ্দিন বাদি হয়ে সাতজনকে আসামি করে পাঁচবিবি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩১ জুলাই আদালতে সোহেলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত না থাকায় বাকি ছয় আসামি অব্যাহতি পান।

দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত এই রায় দেন।

চম্পক কুমার/এমজে