রংপুরে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বাধা দিয়েছে পুলিশ। ঢাকায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে সোমবার (৩১ জুলাই) দুপুরে রংপুর মহানগর বিএনপি এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

এর আগে নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ের দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রধান সড়কে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। একপর্যায়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বাকবিতণ্ডা হয়। সাময়িক উত্তেজনা দেখা দিলেও পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

পরে দলীয় কার্যালয়ের প্রবেশপথের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন তারা। বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামুর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ উন-নবী ডন, যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জহির আলম নয়নসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

এ সময় নেতারা বলেন, ২৯ জুলাই ঢাকায় বিএনপি ঘোষিত শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিকে অশান্তিতে পরিণত করেছে আওয়ামী লীগ ও পুলিশ। সরকারদলীয় পুলিশ বাহিনী বিএনপি নেতা-কর্মীদের অকারণে মারধর, হামলা ও নির্যাতন করেছে। সেই নির্যাতনে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগ, যুবলীগও অংশ নেয়। বিএনপির সিনিয়র নেতাদেরও ছাড় দেয়নি পুলিশ। অনেককে ধরে নিয়ে গেছে। বিভিন্ন মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বিএনপি নেতারা আরও বলেন, মিডিয়ার মাধ্যমে দেশবাসী সব জেনে গেছে। অথচ সরকার বিএনপি নেতাদের নামে দোষ চাপিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আগুন-সন্ত্রাসে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জড়িত। তারাই সংঘবদ্ধভাবে হামলা, নির্যাতনের পাশাপাশি জ্বালাও-পোড়াও চালিয়েছে।

রংপুর মহানগর বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন মহানগর যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু বলেন, পুলিশ আমাদেরকে কোনো কর্মসূচি করার অনুমতি দেয় না। তাই আমরা আর তাদের অনুমতির অপেক্ষায় থাকি না। আজকের বিক্ষোভ সমাবেশের জন্য অনুমতি ছিল না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল বের করলে পুলিশ আমাদের বাধা দেয়।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমান বলেন, তারা (বিএনপি) সমাবেশের জন্য অনুমতি নেয়নি। সড়কে যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, এজন্য তাদেরকে সরে যেতে বলা হয়েছে।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমজেইউ