নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেছেন, নোয়াখালী বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত জেলা। অনেক মহান মানুষ এই জেলায় জন্মগ্রহণ করেছে। যারা দেশের নেতৃত্ব দেন তাদের বেশিরভাগের বাড়ি এ জেলায়। সফলভাবে পুলিশ সুপার হিসেবে এই জেলায় দুই বছর অতিবাহিত করতে পেরে আমি গর্বিত। এই অল্প সময়ে আমি সবার অকুণ্ঠ ভালবাসা পেয়েছি। এতে বোঝা যায় পুলিশ মানুষের আস্থার জায়গায় এসেছে।

সোমবার (৩১ জুলাই) রাতে পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সুপার নোয়াখালী জেলায় তিন বছরে পদার্পণ উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

শহীদুল ইসলাম বলেন, একটা টালমাতাল অবস্থায় আমি নোয়াখালীতে দায়িত্ব পালন করতে এসেছি। অনেক ঘটনা ঘটেছে কিন্তু আমি ছিলাম নিরপেক্ষ। আইনের চোখে সবাই সমান। যেখানেই বড় ঘটনা ঘটেছে আমি সেখানেই হাজির হয়েছি। আমি সব সময় চেয়েছি মানুষের পাশে থাকতে।

শহীদুল ইসলাম আরও বলেন, অসংখ্য ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন আমরা করেছি। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে জেলা পুলিশ সর্বদা সচেষ্ট ছিল। নোয়াখালী জেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনেক মানবিক কাজের সাক্ষী।  এছাড়া দৃষ্টি নন্দন বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন করেছি। এভাবেই কাজ করতে চাই।

এরপর নোয়াখালী জেলা পুলিশ কর্তৃক সাফল্য ও গোরবের দুই বছর পেরিয়ে তিন বছরে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলামের পদার্পণ উপলক্ষ্যে স্মারক গ্রন্থ 'পদচিহ্ন' এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। তারপর চেতনায় বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে কেক কেটে দিবসটি স্মরণীয় করে রাখা হয়।  

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মোর্তাহীন বিল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) বিজয়া সেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) মোহাম্মদ নাজমুল হাসান রাজিব,  সহকারী পুলিশ সুপার (চাটখিল সার্কেল) নিত্যানন্দ দাস, গণমাধ্যমকর্মীরাসহ বিভিন্ন থানার পুলিশ ইনচার্জগণ। 

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১ আগস্ট নোয়াখালী পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মো. শহীদুল ইসলাম। তিনি রংপুর সদর উপজেলার সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান। শিক্ষা জীবনে তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) থেকে ২০০১ সালে স্নাতক ও ২০০৩ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি শেষে ২৫ তম বিসিএস (পুলিশ ক্যাডারে) ২০০৬ সালে পুলিশ বিভাগে যোগদান করেন। 

হাসিব আল আমিন/আরকে